জাতির বীর শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে প্রস্তুত করা হয়েছে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণ। প্রায় এক মাস ধরে শতাধিক পরিচ্ছন্নতাকর্মীর চেষ্টায় চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। জোরদার করা হয়েছে চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। শহীদের সম্মান জানাতে নিয়মিত চলছে তিন বাহিনীর কুচকাওয়াজ।
সরেজমিনে দেখা যায়, জাতীয় স্মৃতিসৌধের মিনার, শহীদ বেদী, গণ কবর ধুয়ে মুছে পরিষ্কার করা হয়েছে। সম্পূর্ণ স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণের সিঁড়ি ও বিভিন্ন স্থাপনা রং তুলির আঁচড়ে নিয়েছে একটি নতুন রূপ। গাছের সবুজ ডাল-পালায় ও লাল ফুলে আবহে তৈরি হয়েছে বাংলাদেশের পতাকা। গাছের পাতা ও ঘাস ছেঁটে করা হচ্ছে সমতল।
পরিচ্ছন্নতাকর্মী হোসেন জানান, শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এরই মধ্যে প্রস্তুত হয়েছে জাতীয় স্মৃতিসৌধ। রং তুলির কাজ শেষ হয়েছে। আলোকসজ্জাসহ সংস্কার কাজও শেষ দিকে।
২০ বছর ধরে জাতীয় স্মৃতিসৌধে কাজ করছেন মালী নুর উদ্দীন। তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি যে ফুলের রিংগুলো দিয়ে শ্রদ্ধা জানাবেন, তা আমরা তৈরি করি।”
সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধের গণপূর্ত বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান জানান, জাতীয় স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণ সম্পূর্ণ ধুয়ে মুছে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করা হয়েছে। এ ছাড়াও রং তুলির কাজ, ফুল দিয়ে সাজানো, সিসিটিভি ও আলোকসজ্জার কাজ শেষ হয়েছে। স্মৃতিসৌধ স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত।
এ বিষয়ে ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন, “চার স্তরের নিরাপত্তার মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। আমাদের পুলিশের পোশাকধারী ও সাদা পোশাক সকল বাহিনীর সদস্যরা সার্বিক নিরাপত্তায় নিয়োজিত হয়েছে। এ ছাড়াও সাভার এবং আশুলিয়া পুলিশের নজরদারিতে রাখা হয়েছে।”
রোববার (২৬ মার্চ) সকালে প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির পুষ্পস্তবক অর্পণের পর জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে জাতীয় স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণ।