বর্ডার গার্ড বাংলাদেশকে (বিজিবি) আন্তঃরাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা নিশ্চিতে আধুনিক অস্ত্র দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, “পূর্বের সরকার ব্যর্থ হলেও সীমান্ত ও সমুদ্রসীমা নির্ধারণে সফল হয়েছে আওয়ামী লীগ। প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে আলোচনা করে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছে বাংলাদেশ।”
সোমবার (৪ মার্চ) বিজিবি দিবস উপলেক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে প্রধানমন্ত্রী বীর উত্তম আনোয়ার হোসেন প্যারেড গ্রাউন্ড পিলখানায় আনুষ্ঠানিক কুচকাওয়াজ পরিদর্শন ও অভিবাদন গ্রহণ করেন।
পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহের কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “এখানে এলেই মনটা ভারী হয়ে যায়। ২০০৯ সালে কেবল সরকার গঠন করি। ২৫ ফেব্রুয়ারি ঘটে এক অঘটন। এই বিদ্রোহে ৫৭ জন অফিসারসহ ৭৪ জন জীবন হারান। নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করি। স্বজনদের সহমর্মিতা জানাচ্ছি। স্বজন হারার বেদনা কত কঠিন, সেটা বোধহয় আমার থেকে কেউ বেশি জানে না। আমরা এই ঘটনার বিচার করেছি।”
এসময় বিজিবি সদস্যদের শৃঙ্খলা ও চেইন অব কমান্ড মেনে চলার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “বিডিআর বিদ্রোহে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনা হয়েছে। এ ধরনের ঘটনা যেন আর না ঘটে।”
শেখ হাসিনা বলেন, “দেশমাতৃকা রক্ষায় সদা অতন্দ্র প্রহরী বিজিবি। সীমান্ত রক্ষার পাশাপাশি চোরাচালান, মাদকরোধ ও দেশের অভ্যন্তরে অগ্নিসন্ত্রাসসহ বিভিন্ন ভূমিকা রেখেছে তারা। বাংলাদেশের মানুষের আস্থার প্রতীক হয়ে সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী হয়ে এগিয়ে যাবে বিজিবি। এটাই আমার প্রত্যাশা।”
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বিজিবিকে বিশ্বমানের আধুনিক বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করছে সরকার। বিজিবি হবে স্মার্ট বাহিনী। তাদের উন্নত প্রশিক্ষণের জন্য আমরা নানা পদক্ষেপ হাতে নিয়েছি।”
খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা ব্যবস্থা করছি। যত খাদ্য লাগে আমরা বাইরে থেকেও নিয়ে আসছি। পাশাপাশি দেশের প্রতিটি মানুষকে উৎপাদন করতে হবে। যাতে আমাদের কারও কাছে হাত পাততে না হয়। ২০৪১ সালের মধ্যে আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই। বিজিবি বিশ্বমানের আধুনিক বাহিনী হিসেবে গড়ে উঠবে আমরা চাই।”
এসময় বিজিবিতে বীরত্বপূর্ণ ও কৃতিত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ বাহিনীর সদস্যদের পদক পরিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, বিজিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সরকারের পদস্থ কর্মকর্তারা অংশ নেন।