প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা মামলায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জামিন শুনানি এক সপ্তাহ পিছিয়েছেন হাইকোর্ট।
বুধবার (৩ জানুয়ারি) বিচারপতি মো. সেলিম ও বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে সময় আবেদন করেন অ্যাডভোকেট ওয়ালিউর রহমান। তিনি আদালতের জ্যেষ্ঠ আইনজীবীদের ব্যস্ত থাকার কারণ দেখিয়ে এক সপ্তাহ সময় আবেদন করেন। তখন হাইকোর্ট বলেন, জামিন শুনানিতে আগে এত জরুরি ছিল, এখন পেছাতে এসেছেন কেন?
১ থেকে ৭ জানুয়ারি বিএনপির আদালত বর্জন কর্মসূচি চলমান থাকায় বিএনপির আইনজীবীরা জামিন শুনানিতে অংশ নেননি।
এর আগে সকালে মির্জা ফখরুলের আইনজীবীরা জানান, নির্বাচন ঠেকাতে বিএনপির আদালত বর্জন কর্মসূচি থাকায় তার শুনানি পেছানোর আবেদন করা হবে।
এদিকে নির্বাচন বাতিল ও বিচারিক হয়রানি বন্ধের দাবিতে বুধবার তৃতীয় দিনের মতো আদালত বর্জন কর্মসূচি পালন করছেন বিএনপি ও সমমনা দলের আইনজীবীরা।
আদালতের প্রবেশপথে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ ও ভোট বর্জনের লিফলেট বিতরণ করছেন তারা। দলটির আইনজীবীদের এ বর্জন কর্মসূচি চলবে ৭ জানুয়ারি ভোটের দিন পর্যন্ত। তবে সকাল থেকে বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা আদালত বর্জন করলেও স্বাভাবিক রয়েছে হাইকোর্ট ও আপিল বিভাগের বিচারকাজ।
এদিকে নাশকতার ৯ মামলায় বিএনপি মহাসচিবের জামিন শুনানির জন্য ৯ জানুয়ারি দিন ধার্য রয়েছে। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ওই দিন শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।
উল্লেখ্য, ২৮ অক্টোবর বিএনপির সমাবেশ ঘিরে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার ঘটনায় রমনা থানায় করা মামলায় গত ২৯ অক্টোবর মির্জা ফখরুলকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মহাসমাবেশ কর্মসূচি ডাক দিয়ে শর্ত ভঙ্গ, পুলিশ হত্যা, নাশকতা-ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটিয়েছে বিএনপির নেতা-কর্মীরা। এসব ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের উদ্দেশ্যে গত ২৯ অক্টোবর বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে আটক করা হয়। দিনভর ডিবি কার্যালয়ে রাখার পর রাতে আদালতে তোলা হয় বিএনপি মহাসচিবকে। বর্তমানে এ মামলায় তিনি কারাগারে।