বাংলাদেশের ইতিহাসে কোনো সরকারের সর্বকনিষ্ঠ উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে রেকর্ড সৃষ্টি করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক শিক্ষার্থী নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। তারা দুইজন দুটি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বও পেয়েছেন। নাহিদ ইসলামকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের। আসিফ মাহমুদ পেয়েছেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব।
তবে এবার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সুযোগ দেওয়া হবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টাদের পাশাপাশি সব মন্ত্রণালয়ের তদারকিতে। প্রাথমিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাদের ‘সহকারী উপদেষ্টা’ বা এ রকম কোনো পদায়ন করে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে তদারকির সুযোগ করে দেওয়া হবে।
তবে শিক্ষার্থীদের এই কাজে কীভাবে সম্পৃক্ত করা হবে, কী হবে কাঠামো তা পরে ঠিক করা হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।
শুক্রবার (৯ আগস্ট) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের প্রথম অনানুষ্ঠানিক বৈঠকে এসব বিষয়ে আলোচনা করা হয়। পরে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান সাংবাদিকদের বলেন, “সব মন্ত্রণালয়ে উপদেষ্টাদের সঙ্গে কাজ পরিচালনার ক্ষেত্রে আন্দোলনকারী ছাত্র প্রতিনিধিরা সম্পৃক্ত থাকবেন।”
জানতে চাইলে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, “প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে ‘সহকারী উপদেষ্টা’ বা এ রকমভাবে কোনো পদায়ন করে মন্ত্রণালয়ে ছাত্রদের তদারকির ব্যবস্থাটি থাকবে।”
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এই সমন্বয়ক আরও বলেন, “উপদেষ্টা পরিষদে দক্ষ ও অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের মনোনীত করা হয়েছে। একই সঙ্গে পর্যবেক্ষণ ও তদারকির জন্য এবং ছাত্রদের কণ্ঠ থাকার জন্য দুজন ছাত্র প্রতিনিধিও উপদেষ্টা পরিষদে রয়েছে। এর পাশাপাশি সামনের দিনে ছাত্র প্রতিনিধিরা অন্য উপদেষ্টাদের সঙ্গে সহকারী হিসেবে কাজ করার সুযোগ পাবেন।”
এর আগে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়। প্রধান উপদেষ্টাসহ এ সরকারে সদস্যসংখ্যা ১৭ জন। বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে বঙ্গভবনের দরবার হলে প্রধান উপদেষ্টা ও ১৩ জন উপদেষ্টাকে শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।