বাংলাদেশে বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও যুক্তরাজ্যের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।
সোমবার (২২ জানুয়ারি) মন্ত্রণালয়ের অফিস কক্ষে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত ও যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনারের সঙ্গে পৃথক সাক্ষাৎকালে তিনি এ আহ্বান জানান।
আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, “বাংলাদেশ রপ্তানি বহুমুখীকরণের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাট ও পাটজাত এবং চামড়া চামড়াজাত পণ্য খাতকে এগিয়ে নিতে নির্দেশনা দিয়েছেন। এছাড়া হস্তশিল্পকে ২০২৪ সালের বর্ষপণ্য ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি ফার্মাসিউটিকেল বিশেষ করে, এপিআই খাতে, অ্যাগ্রো প্রসেসিং, সি ফুড, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং, স্বাস্থ্য, বাই সাইকেল, হিমায়িত খাদ্য, কৃষিপণ্যে দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধি ও গুণগতমান উন্নয়নে যৌথ উদ্যোগে কাজ করার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।”
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, “দেশে ব্যবসা-বাণিজ্যের সম্প্রসারণ এবং বিদেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে ট্রেড ও রেগুলেটরি সংক্রান্ত বাধা দূর করে আমদানি ও রপ্তানি পলিসি যুগোপযোগী করা হচ্ছে। এছাড়া বাংলাদেশ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ-বিডা দেশের বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগের অনুকূল পরিবেশ তৈরি এবং বিনিয়োগকারীদের ওয়ান স্টপ সার্ভিস প্রদান করছে।”
২১ জানুয়ারি থেকে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা শুরু হয়েছে জানিয়ে আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, “এ বছর মেলায় বাংলাদেশে অবস্থিত সকল মিশনের প্রধানরা এবং ট্রেড/কমার্সিয়াল কাউন্সিলরদের নিয়ে মেলা পরিদর্শনের পরিকল্পনা রয়েছে। দেশে উৎপন্ন পণ্য প্রদর্শনের সবচেয়ে বড় আসর এই মেলা। এখানে অনেক বিদেশি প্যাভেলিয়নও থাকে। মিশন কর্মকর্তাদের মেলা পরিদর্শনের মাধ্যমে বাংলাদেশি পণ্যের ব্রান্ডিং করা সম্ভব হবে।”
যে সকল পণ্য ইইউ এবং যুক্তরাজ্য থেকে বাংলাদেশ আমদানি করে, সেসব পণ্য কন্ট্রাক্ট ম্যানুফ্যাকচারিংয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশে উৎপাদনের আহ্বান জানিয়ে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, “বাংলাদেশ বর্তমানে বিনিয়োগের উত্তম জায়গা হিসেবে বিশ্বে পরিচিতি লাভ করেছে। অনেক দেশ সরকার নির্ধারিত ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ করছে। অর্থনৈতিক অঞ্চল ছাড়াও শিল্প কলকারখানা প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হবে।”