বাংলাদেশ-ভারতের স্বার্থসংশ্লিষ্ট দ্বি-পক্ষীয় কয়েকটি বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভর্মা ও নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর। আলোচনায় গুরুত্ব পায় করোনাকালীন বন্ধ থাকা ইমিগ্রেশন সেন্টারগুলো পুনরায় চালু করা, স্থল বন্দরগুলোর বে-টার্মিনাল উন্নয়ন এবং বাংলাদেশে ভারতের ক্রুজ সার্ভিস’র নানা দিক।
মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রীর অফিসে ভারতীয় হাই কমিশনার প্রণয় ভর্মার এক সাক্ষাৎ পর্বে এই আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
আশুগঞ্জ নৌবন্দর ও আখাউড়া স্থলবন্দর, পায়রা বন্দর, মোংলা বন্দর ও চট্টগ্রাম বন্দরের বে-টার্মিনাল উন্নয়নের বিষয় তাদের মধ্যে আলোচনায় স্থান পায়। তারা খাগড়াছড়ির রামগড় স্থলবন্দর এবং দিনাজপুরের বিরল স্থলবন্দরের বিপরীতে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের রাধিকাপুর স্থলবন্দরে ইমিগ্রেশন ব্যবস্থা চালু করার বিষয় নিয়েও আলোচনা করেন।
রাধিকাপুর স্থলবন্দরে ইমিগ্রেশন ব্যবস্থা দ্রুত চালু করার ওপর জোর দিয়ে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী জানান, ইতিপূর্বে করোনার আগে সেখানে ইমিগ্রেশন ব্যবস্থা চালু ছিল। দুই দেশের যাত্রীদের যাতায়াতে সুবিধা ছিল। করোনার সময় বেশ কয়েকটি স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশন ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যায়। তার মধ্যে রাধিকাপুর একটি। তিনি এটিতে দ্রুত ইমিগ্রেশন ব্যবস্থা চালু করার জন্য আহ্বান জানান।
সাক্ষাৎকালে বাংলাদেশ ও ভারতের কলকাতার মধ্যে ক্রুজ সার্ভিস চালু এবং তাদের ভিসাপ্রাপ্তি ও ক্রুদের জাহাজ থেকে স্থলে যাওয়ার বিষয়টি সহজ করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী।
এ ছাড়া নৌ প্রটোকল রুটের বিষয়গুলো এক্সপিডাইট করার বিষয় নিয়েও তাদের মধ্যে আলোচনা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান কমোডর আরিফ আহমেদ মোস্তফা এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব উন্নয়ন মো. রফিকুল ইসলাম খান।