• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ভোজ্যতেল নিয়ে সুসংবাদ দিলেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: মে ২১, ২০২৪, ০৪:৫৬ পিএম
ভোজ্যতেল নিয়ে সুসংবাদ দিলেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
মুদি দোকান। ছবি : সংগৃহীত

সম্প্রতি ডলারের দাম বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এরপর থেকে আমদানি করা প্রায় সব জিনিসের দাম বেড়ে যাচ্ছে। যেগুলোর বাড়েনি, সেগুলোরও বেড়ে যাবে বলে আলোচনা-সমালোচনা চলছে। এরমধ্যে এক প্রকার সুসংবাদই দিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। তিনি বলেছেন, “ডলারের দাম বেড়ে গেলেও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র, বিশেষ করে ভোজ্যতেলে এর কোনো প্রভাব পড়বে না।”

মঙ্গলবার (২১ মে) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, “আমদানিনির্ভর পণ্য, বিশেষ করে ভোজ্যতেলের কোনো অ্যাডজাস্টমেন্ট (সমন্বয়) করব না। আশ করছি, উৎপাদনকারী ও আমদানিকারক যারা আছেন, ঈদ পর্যন্ত নতুন করে কোনো মূল্য বেঁধে দেবে না। পুরোনো মূল্যেই তারা সরবরাহ করতে পারবেন। ডলারের দাম বাড়লেও ভোক্তাদের সুবিধার্থে পণ্যের দাম একই পর্যায় রাখব।”

ঈদের পরে ক্রেতাদের জন্য দুঃসংবাদ অপেক্ষা করছে কি, এমন প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, “এটা একটা আন্তর্জাতিক পণ্য। কোথায় যুদ্ধ হবে, অর্থনীতির কোথায় কী হবে, সেটা নিয়ে আগাম ধারণা করা যাবে না। তবে এই মুহূর্তে নতুন করে ডলারের মূল্য নির্ধারণের প্রয়োজনীয়তা আছে বলে আমি মনে করি না। যদি আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের দাম বেড়ে যায়, তাহলে তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা চিন্তা করব।”

ডলারের দাম প্রসঙ্গে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, “আগে ডলারের যে দাম নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছিল সেটাই অব্যাহত থাকবে। ঈদের আগ পর্যন্ত ডলারের নতুন কোনো দাম নির্ধারণ করা হবে না।”

ডলারের দাম বাড়ায় আমদানিনির্ভর পণ্যের দামও বাড়বে। এতে ভোক্তাদের ওপর চাপ বাড়বে কি না; সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, “আমি আপনাদের নিশ্চিত করে বলতে চাই, ডলারের অ্যাডজাস্টমেন্টটা হলো ১০-১৭ টাকা পর্যন্ত। এতে ভোক্তা পর্যায়ে কোনো প্রভাব পড়বে না। কারণ আমদানিকারকরা তখনই অভিযোগ করছিলেন যে ব্যাংক থেকে তারা সরকারি রেটে ডলার পাচ্ছিলেন না, তারা তখনই ১২০-১২২ টাকা পর্যন্ত এক একজন এক একভাবে প্রাইভেটলি সেটেলড (নিষ্পত্তি) করছিলেন। এখন সরকার সমন্বয় করার কারণে সরকারি রেটেই তারা আমদানি করতে পারবেন। কাজেই আমদানিনির্ভর পণ্য, বিশেষ করে ভোজ্যতেলের দামে কোনো অ্যাডজাস্টমেন্ট (সমন্বয়) করব না।”

Link copied!