‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার’ আশ্রয়কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা মানবতার ফেরিওয়ালাখ্যাত মিল্টন সমাদ্দারের ভয়াবহ-রোমহর্ষক সব ঘটনার খবর বের হয়ে আসছে। মানবিকতার আড়ালে তার পাশবিকতা শিউরে ওঠার মতো।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেছেন, মিল্টন সমাদ্দারের অনেক ভয়াবহ-রোমহর্ষক ঘটনা আছে। তদন্ত শেষ না হলে এসব ঘটনা বলা ঠিক হবে না।
সোমবার (৬ মে) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে হারুন অর রশীদ এসব কথা বলেন।
মানবপাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনের মামলায় মিল্টন এখন ডিবির হেফাজতে রিমান্ডে আছেন। মিরপুর থানায় করা এই মামলায় রোববার (৫ মে) তাকে চার দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দেন আদালত।
জিজ্ঞাসাবাদে যেসব তথ্য পাওয়া যাচ্ছে সেসব বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) প্রধান হারুন অর রশীদ। ডিবিপ্রধান বলেন, মিল্টন কিছু অসহায়, বৃদ্ধ, অনাথ, মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তিকে পুঁজি করে বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে অর্থ নিয়েছেন। এই অর্থ তার ব্যাংক হিসাবে জমা হচ্ছিল। কিন্তু তিনি কোনো টাকা খরচ করছিলেন না। আশ্রয়কেন্দ্রের কাউকে তিনি চিকিৎসা দিচ্ছিলেন না।
ডিবি প্রধান জানান, মিল্টনের আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা অসহায় বৃদ্ধ ও শিশুদের ব্যয়ভার বহন করবে শামসুল হক ফাউন্ডেশন; পাশাপাশি তারা একজন চিকিৎসককে সার্বক্ষণিক আশ্রয়কেন্দ্রে রাখার ব্যবস্থা করবে।
এর আগে প্রতারণা, জালিয়াতিসহ বিভিন্ন অভিযোগে ১ মে মিল্টনকে রাজধানীর মিরপুর থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। কিছুদিন ধরেই মিল্টনের বিরুদ্ধে প্রতারণাসহ নানা অভিযোগে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হচ্ছিল। গ্রেপ্তার হওয়ার আগে তিনি ফেসবুকে ভিডিও প্রচার করে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন। এরই মধ্যে মিল্টনের সঙ্গে কাজ করা এবং সংশ্লিষ্ট কয়েকজন তার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ এনেছেন।