• ঢাকা
  • বুধবার, ২১ আগস্ট, ২০২৪, ৬ ভাদ্র ১৪৩১, ১৬ সফর ১৪৪৫

মিল্টন সমাদ্দারের কারামুক্তিতে বাধা নেই, যেভাবে পেলেন জামিন


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: জুলাই ১৫, ২০২৪, ০৭:৫৮ পিএম
মিল্টন সমাদ্দারের কারামুক্তিতে বাধা নেই, যেভাবে পেলেন  জামিন
মিল্টন সমাদ্দার। ছবি : সংগৃহীত

রাজধানীর ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার’ আশ্রমের চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দারের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত।

সোমবার (১৫ জুলাই) শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালত আসামির ৫ হাজার টাকায় মুচলেকায় জামিনের আদেশ দেন।

তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা ছিল। যার মধ্যে মানবপাচার মামলায় উচ্চ আদালত থেকে তিনি জামিন পেয়েছেন। আরেকটি মামলায় সিএমএম আদালত থেকে জামিন পেয়েছেন। তাই সবগুলো মামলায় জামিন পাওয়ায় তার কারামুক্তিতে কোনো বাধা নেই।

এর আগে গত ১ মে রাতে রাজধানীর মিরপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে মিল্টন সমাদ্দারকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। তার বিরুদ্ধে জাল মৃত্যু সনদ তৈরি, টর্চার সেলে লোকজনকে নির্যাতন ও মানবপাচারের অভিযোগে তিনটি মামলা করা হয়। পরে তাকে রিমান্ডেও নেওয়া হয়। এরপর থেকে তিনি কারাগারে রয়েছেন।

এর আগে গত ১ মে মানবপাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে মিরপুর মডেল থানায় একটি মামলা করেন ধানমন্ডির বাসিন্দা এম রাকিব। মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, ২০২০ সালের ৬ সেপ্টেম্বর তিনি শেরে বাংলা নগর থানার ধানমন্ডি বয়েজ স্কুলের সামনে দুই বছরের এক শিশুকে পড়ে থাকতে দেখেন। এরপর তিনি থানায় ফোন করেন। কিন্তু থানা পুলিশ কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় তিনি ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার’-এ ফোন করলে মিল্টন সমাদ্দার ওই শিশুকে নিয়ে যান। তখন বাদী নিজেও তাদের সঙ্গে যান। মিল্টন সমাদ্দার তাকে অজ্ঞাতনামা শিশুর অভিভাবক হিসেবে গ্রহণ করেন। পরে মিল্টন সমাদ্দারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ১০ হাজার টাকার বিনিময়ে শিশুটিকে ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ারে’ ভর্তি করা হয়। এরপর মিল্টন সমাদ্দার জানান, আদালতের মাধ্যমে শিশুটিকে দত্তক নেওয়া যাবে।

ওই মামলার বাদী বলেন, “এভাবে কিছুদিন অতিবাহিত হওয়ার পর হঠাৎ একদিন ফোন করে মিল্টন সমাদ্দার আমাকে গালিগালাজ করেন এবং বলেন আমি যেন তার প্রতিষ্ঠানে আর না যাই, শিশুটির খোঁজখবর না নেই। এরপর আরও বেশ কয়েকজন ফোন করে আমাকে হুমকি দেন ও ভয়ভীতি দেখান। প্রাণ ভয়ে আমি আর সেখানে যাইনি। সম্প্রতি একটি খবর চোখে আসার পর গত ২৪ এপ্রিল প্রতিষ্ঠানে গিয়ে শিশুটিকে পাওয়া যায়নি। শিশুটি কোথায় আছে, সে ব্যাপারেও সদুত্তর মেলেনি। আমার মনে হয় শিশুটিকে পাচার করা হয়েছে।”

Link copied!