নতুন জঙ্গি সংগঠন ‘জামায়াতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বুধবার (৯ আগস্ট) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে এই তথ্য জানানো হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সরকারের কাছে এ মর্মে প্রতীয়মান হয় যে, ‘জামায়াতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’ নামক জঙ্গি দল/সংগঠনটির ঘোষিত কার্যক্রম দেশের শান্তি শৃঙ্খলা পরিপন্থি। এরই মধ্যে দল/সংগঠনটির কার্যক্রম জননিরাপত্তার জন্য হুমকি বলে বিবেচিত হওয়ায় বাংলাদেশে এর কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হলো। এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।
এদিকে, বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) বিকালে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এক ভিডিও বার্তায় বলেন, “নতুন এই জঙ্গি সংগঠনের কার্যক্রম সম্বন্ধে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে বিভিন্ন তথ্য জানায় এবং সংগঠনটিকে নিষিদ্ধের আবেদন করে র্যাব। এর পরিপ্রেক্ষিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের জারি করা প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বিয়ার কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়।”
খন্দকার আল মঈন আরও বলেন, “গত বছরের অক্টোবর থেকে আজ পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন স্থানে ও পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ি এলাকায় অভিযান চালিয়ে ইতোমধ্যে নতুন এই জঙ্গি সংগঠনের আমির আনিসুর রহমান ওরফে মাহমুদসহ ৮২ জন এবং পাহাড়ে অবস্থান, প্রশিক্ষণ ও অন্যান্য কার্যক্রমে জঙ্গিদের সহায়তার জন্য পাহাড়ি বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন ‘কেএনএফ’র ১৭ জন নেতা ও সদস্যকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হয়েছে।”
গত বছরের ৫ অক্টোবর ঘরছাড়া সাত তরুণকে গ্রেপ্তারের পর নতুন এই সংগঠটির বিষয়ে জানা যায়। ৭ তরুণকে গ্রেপ্তারের পরদিন সংবাদ সম্মেলনে র্যাব জানায়, বাংলাদেশে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন, বিশেষত জেএমবি, আনসার আল ইসলাম এবং হুজির বিভিন্ন পর্যায়ের কিছু নেতাকর্মী একত্রিত হয়ে জামায়াতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার কার্যক্রম শুরু করে।
জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার দাওয়া বিভাগের প্রধান সদ্য এমবিবিএস পাস করা শাকির বিন ওয়ালী নামে এক চিকিৎসক। গত বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর তাকে গ্রেপ্তার করে কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি)।
রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে চিকিৎসক শাকির নতুন জঙ্গি সংগঠনের বিষয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য দেন। এরপর ওই বছরের ২৬ অক্টোবর রাজধানীর ডেমরা থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে নতুন জঙ্গি সংগঠনের সক্রিয় পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করে সিটিটিসি। এরপরই নতুন এ জঙ্গি সংগঠনটিও নিষিদ্ধ করতে উদ্যোগ নেয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।