• ঢাকা
  • সোমবার, ১৭ মার্চ, ২০২৫, ৩ চৈত্র ১৪৩০, ১৬ রমজান ১৪৪৬

মেট্রোরেলে টিকিট বিক্রি বন্ধ, কারা চলাচল করছেন, জানা গেল


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: মার্চ ১৭, ২০২৫, ০৯:১৫ এএম
মেট্রোরেলে টিকিট বিক্রি বন্ধ, কারা চলাচল করছেন, জানা গেল
মেট্রোরেল। ছবি : সংগৃহীত

এমআরটি পুলিশের সদস্যদের মারধরের প্রতিবাদে কর্মবিরতি পালন করছেন ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) কর্মীরা।

ফলি সোমবার সকাল থেকে একক যাত্রার টিকিট দেওয়া বন্ধ আছে, কেবল র‍্যাপিড পাস আছে- এমন যাত্রীরা যাতায়াত করতে পারছেন। ফলে মেট্রোরেল চলাচল করলেও ভোগান্তিতে পড়েছেন অন্য যাত্রীরা।

রোববার বিকেলে সচিবালয় স্টেশনে কর্মরত অফিসারদের মারধরের অভিযোগ করেছেন মেট্রোরেলের কর্মীরা।

সোমবার সকাল ৭টায় ঢাকার মিরপুর-১০ নম্বর মেট্রোরেল স্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, মেট্রোরেল স্টেশনে ওঠার সিঁড়ি এবং চলন্ত সিঁড়ির কলাপসিবল গেট বন্ধ।

এতে একটি বিজ্ঞপ্তি টানিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, “সাময়িকভাবে মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ আছে। যাত্রীদের অসুবিধার জন্য দুঃখিত।”

এমনিতে প্রতিদিন সকাল ৭টায় ওই গেট খোলা হয়। বেলা ৭টা ২০ মিনিটে একজন নিরাপত্তাকর্মী এসে কলাপসিবল গেট খুলে দেন। এ সময় বাইরে কয়েকজন যাত্রী অপেক্ষমাণ ছিলেন।

গেট খুলে দিয়ে সজীব নামের ওই নিরাপত্তাকর্মী বলেন, "যাদের র‌্যাপিড পাস আছে তারা যেতে পারবেন। সিঙ্গেল টিকেট দেওয়া বন্ধ আছে।"

ওই স্টেশনের কনকোর্স হলে গিয়ে দেখা গেছে, টিকেট কাউন্টার বন্ধ। সেখানে কোনো কর্মী নেই।

মেট্রোরেল কর্মীরা অভিযোগ করছেন, রোববার সোয়া ৫ টার দিকে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের চারজন কর্মীকে মৌখিক ও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে এমআরটি পুলিশ সদস্যরা।

এ বিষয়ে রোববার মধ্যরাতে ‍‍`ঢাকা ম্যাচ ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দে‍‍`র ব্যানারে একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে কর্মবিরতির ঘোষণা দেওয়া হয়।

এতে বলা হয়, রোববার সোয়া ৫টার দিকে দুজন নারী কোনো পরিচয়পত্র না দেখিয়ে সাদা পোশাকে বিনা টিকেটে ট্রেনে ভ্রমণ করেন। ওই সময় তারা ইএফও (এক্সেস ফেয়ার কালেকশন) অফিসের পাশে অবস্থিত সুইং গেইট ব্যবহার করে পেইড জোন থেকে বের হতে চান। তারা নির্ধারিত ইউনিফর্ম পরা ছিলেন না, তাদের পরিচয় নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি। এ অবস্থায় সেখানে দায়িত্বরত সিআরএ সুইং গেইট দিয়ে বের হওয়ার কারণ জানতে চান।

এতে পুলিশের কর্মকর্তারা উত্তেজিত হয়ে তর্কে জড়ান। একপর্যায়ে এমআরটি পুলিশের কন্ট্রোল রুমে চলে যান। পরে ঠিক একইভাবে দুজন এপিবিএন সদস্য সুইং গেইট ব্যবহার করে সুইং গেইট না লাগিয়ে চলে যান৷ এ বিষয়ে তাদের কাছে জানতে চাইলে তারাও আগের ঘটনার জের ধরে তর্কে জড়িয়ে পড়েন।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কিছুক্ষণ পর পুলিশ কন্ট্রোল রুম থেকে আরও কয়েকজন পুলিশ এসে দায়িত্বে থাকা সিআরএর সঙ্গে ইএফওতে তর্কে জড়িয়ে পড়েন৷ ইএফও থেকে বের হওয়ার সময় কর্মরত সিআরএর কাঁধে বন্দুক দিয়ে আঘাত করে এবং কর্মরত আরেকজন টিএমওর শার্টের কলার ধরে এমআরটি পুলিশ বক্সে নিয়ে গিয়ে মারধর করে।

এ সময় গুলি করার জন্য বন্দুক তাক করে। তখন স্টেশনের স্টাফ ও যাত্রীরা এমআরটি পুলিশের হাত থেকে কর্মরত টিএমওদের উদ্ধার করে নিয়ে আসে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, “আহত সিআরএকে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ পরিস্থিতি মেট্রোরেলের কর্মপরিবেশের জন্য হুমকি।”

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ছয়টি দাবি করেছেন মেট্রোরেলের কর্মীরা। এগুলো হল-

আগামী এক কার্যদিবসের মধ্যে ঘটনায় জড়িত পুলিশ সদস্যকে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করতে হবে। বাকি পুলিশ সদস্যদের শান্তি দিতে হবে, তাদেরকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে।

মেট্রোরেল, মেট্রো স্টাফ ও যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য নিরাপত্তা বাহিনী গড়ে তুলতে হবে।

এমআরটি পুলিশকে বিলুপ্ত করতে হবে, স্টেশনে দায়িত্বরত সিআরএ, টিএমও, স্টেশন কন্ট্রোলারসহ অন্যান্য কর্মীদের শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

অফিশিয়াল পরিচয়পত্র ছাড়া এবং অনুমতি ছাড়া কোনো ব্যক্তি যেন স্টেশনের পেইড জোনে প্রবেশ করতে না পারে, তা নিশ্চিত করতে হবে। আহত কর্মীর সম্পূর্ণ চিকিৎসার দায়িত্ব কর্তৃপক্ষকে নিশ্চিত করতে হবে।

Link copied!