গ্রিন, ক্লিন ও স্মার্ট নগরী গড়ার লক্ষ্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের এটুআই প্রোগ্রাম এবং রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।
মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) আইসিটি বিভাগের সম্মেলন কক্ষে এই সমঝোতা স্মারক সই হয়।
চুক্তিতে এটুআই প্রোগ্রামের যুগ্ম-পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম এবং রাজশাহী সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. এ বি এম শরীফ উদ্দিন সই করেন।
এসময় রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান (লিটন) এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক উপস্থিত ছিলেন।
চুক্তির আওতায় এটুআই রাজশাহী সিটি করপোরেশনকে স্মার্ট সিটিতে রূপান্তরে সব ধরনের কারিগরি সহায়তা প্রদান একইসঙ্গে স্মার্ট সিটি ইকোসিস্টেম গড়ে তুলতে প্রয়োজনীয় পরিকল্পনা গ্রহণ, অবকাঠামো নকশা প্রণয়ন, স্মার্ট সমাধান তৈরিসহ বিভিন্ন বিষয়ে সহযোগিতা প্রদান করবে। এছাড়া ৩টি গাইডলাইন তৈরি ও কর্মপরিকল্পনা এবং বাজেট প্রণয়ন করবে।
‘স্মার্ট রাজশাহী সিটি’বিষয়ক আলোচনা সভা ও চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র স্মার্ট সিটি গড়ে তুলতে ‘ফেস ডিটেক্টর ক্যামেরা, হোল্ডিং ট্যাক্স আদায়ে ড্রোন দিয়ে জরিপসহ বিভিন্ন পরিকল্পনার কথা বিস্তারিতভাবে তুলে ধরেন।
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, “স্মার্ট বাংলাদেশ টাস্কফোর্স বৈঠকে গ্রামকেও স্মার্ট ভিলেজে পরিণত করার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এরই অংশ হিসেবে প্রথম ধাপে রাজশাহী ও কক্সবাজার নগরীকে পাইলট প্রকল্পের অধীনে স্মার্ট সিটি করা হবে। এক্ষেত্রে তিন ধাপে ২০২৪, ২০২৫ সালে সেবার স্মার্ট রূপান্তরের মাধ্যমে ২০২৮ সালের মধ্যে রাজশাহী হবে পেপারলেস ও কন্ট্যাক্টলেস স্মার্ট সিটি। এর মাধ্যমে রাজশাহী হবে সবুজ, পরিচ্ছন্ন, স্বচ্ছ ও নির্মল শহর।”
এছাড়া আগামী সেপ্টেম্বরে রাজশাহীতে একটি ‘স্মার্ট কর্মসংস্থান মেলা’ করা হবে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর উদ্ভাবন ও উদ্যোক্তা সংস্কৃতি গড়ে তেলায় স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সারা দেশে জাগরণ সৃষ্টি হয়েছে।”
অনুষ্ঠানে স্মার্ট সিটির দৃষ্টান্ত তুলে ধরেন এটুআই নীতির উপদেষ্টা আনীর চৌধুরী। বুদ্ধিদীপ্ত প্রবলেম সলভার জাতি হিসেবে স্থানীয়ভাবেই সমস্যার সমাধানে রাজশাহীতে একটি ইনোভেশন ল্যাব স্থাপন এবং জাতিসংঘের শূন্য ডিজিটাল বৈষম্যের শহর হিসেবে রাজশাহীকে গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করেন আনীর চৌধুরী।