রোজায় খাদ্যপণ্য নিয়ে কোনো ধরনের মজুতদারি বা কারসাজি করার চেষ্টা করলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম (টিটু)।
রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে ব্যারিস্টার সাইদুল হক সুমনের এক সম্পূরক প্রশ্নের উত্তরে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন। এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী আমাদের প্রথম কেবিনেট থেকেই দিকনির্দেশনা দিয়েছেন এবং আন্তঃমন্ত্রণালয় একটি সমন্বয় কমিটির মাধ্যমে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। সেখানে আমাদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রতিনিধি আমাদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক কাজ করে যাচ্ছেন। এই টাস্কফোর্সের মাধ্যমে নিরবচ্ছিন্নভাবে সরবরাহের বিষয়ে গতকালও (১০ ফেব্রুয়ারি) প্রধানমন্ত্রী আমাদের বিভিন্ন পর্যায় বিশেষ করে পরিবহন, বাজার ব্যবস্থাপনায় যেন প্রতিবন্ধকতা না হয় সেই বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছেন। এই নির্দেশনাগুলো যেন বাস্তবায়ন হয় সেজন্য আমরা সমন্বিতভাবে কৃষি মন্ত্রণালয়, খাদ্য মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিদের সার্বক্ষণিক মনিটরিং করছি।”
প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম বলেন, “আমরা আশা করছি আগামী রমজানে নিরবচ্ছিন্নভাবে খাদ্যের সরবরাহ ভোক্তা পর্যায়ে নিশ্চিত করতে পারব। কোনো ধরনের মজুতদারি বা কারসাজির চেষ্টা করা হলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
অপর এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, “আমরা রমজান সামনে রেখে পেঁয়াজ এবং চিনির ব্যাপারে আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তারা এই দুটি পণ্য রপ্তানি নিষিদ্ধ করলেও রমজানের আগেই বাংলাদেশের জন্য পেঁয়াজ এবং চিনি রপ্তানির অনুমোদন দেবেন বলে আশা করছি। আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গতকাল ভারত থেকে এসেছেন। সেখান থেকে তিনি আশ্বস্ত হয়ে এসেছেন যে প্রক্রিয়া চলছে। আমরা আশা করি, রমজান শুরুর আগেই আমরা ভারত থেকে এবং বিকল্প অন্য মাধ্যম থেকেও পেঁয়াজ এনে সরবরাহ নিশ্চিত করতে পারব।”