ফেব্রুয়ারি মাসে দেশে প্রবাসী আয় এসেছে ২১৬ কোটি কোটি ৬০ লাখ মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ২৩ হাজার ৭১৭ কোটি ৭০ লাখ টাকা (প্রতি ডলার ১০৯ দশমিক ৫০ পয়সা হিসেবে)। এ প্রবাসী আয় চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই-ফেব্রুয়ারি আট মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ।
এর আগে গত জুন মাসে এসেছিল ২২০ কোটি ডলার। মার্চ আর জুন ছাড়া কোনো মাসেই ২০০ কোটি ডলার আসেনি।
রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, ফেব্রুয়ারি মাসে দেশে গড়ে প্রতিদিন এসেছে ৭ কোটি ৭৩ লাখ ৫৭ হাজার ১৪৩ মার্কিন ডলার। আগের বছর একই সময়ে গড়ে দিনে প্রবাসী আয় আসে পাঁচ কোটি ৫৭ লাখ ৩১ হাজার ৪২৮ ডলার।
গত জানুয়ারিতে গড়ে প্রতিদিন প্রবাসী আয় এসেছে ৭ কোটি ৩১ হাজার ৬৬৬ ডলার। ডিসেম্বর মাসেও ঊর্ধ্বমুখী ছিল।
২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে ৪৪ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন প্রবাসী আয় আসে দেশে। এতে সরকার প্রণোদনা বাড়ায়। পাশাপাশি নির্ধারিত দামের অতিরিক্ত দামে প্রবাসী আয় না কেনার নির্দেশনা তুলে নেয়। এরপর থেকে প্রবাসী আয় বাড়তে থাকে।
এ সময় হুন্ডিকে নিরুৎসাহিত করতে নানামুখী উদ্যোগ নেওয়া বাংলাদেশ ব্যাংক। ব্যাংক সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রেমিট্যান্স কেনায় ঘোষিত দর ১০৯ টাকা ৫০ পয়সা হলেও ১২২ থেকে ১২৫ টাকা দরে পর্যন্ত কেনা যাচ্ছে। যেসব কারণে প্রবাসী আয় বাড়ছে।
২০২৩ সাল ও তার আগের বছরে যে হারে মানুষ কাজ নিয়ে বিদেশে গেছেন, হুন্ডির মাধ্যমে টাকা আসা ও অর্থ পাচার হওয়ায় ব্যাংকিং চ্যানেলে বৈধভাবে সেই অনুপাতে রেমিট্যান্স বাড়েনি।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, নতুন সরকার দায়িত্ব নেওয়ায় রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা কেটে গেছে, পাচার কমেছে। এর প্রভাব পড়ছে প্রবাসী আয়ে। আগামী মাসগুলোয় এ ধারা অব্যাহত থাকবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তারা।