দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে মাতারবাড়ী বিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজ। ইতোমধ্যে কোরিয়ান পসকো ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন কোম্পানির নির্মাণাধীন এই প্রকল্পের ৯৫.৯ শতাংশ নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার কোরিয়ার দূতাবাস থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
দূতাবাস জানায়, জাইকার অর্থায়নে ৭ বছর মেয়াদে ১২০০ মেগাওয়াট এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে জাপানের সুমিতোমো, তোশিবা এবং আইএইচআই কোম্পানি কনসোর্টিয়াম হিসেবে সহযোগিতা করছে। এই অঞ্চলের অর্থনীতি বিকাশের অঙ্গীকারের অংশ হিসেবে পসকো প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৪ হাজার স্থানীয় কর্মী নিয়োগ করেছে।
কোভিড-১৯ মহামারির চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পের নির্মাণ কাজ ২০২০ সালের মার্চ মাসে শুরু হয়। কোনো প্রকার বিলম্ব ছাড়াই এগিয়ে চলছে প্রকল্পটি। আশা করা হচ্ছে, এর প্রথম ইউনিটটি ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু করবে। আর দ্বিতীয় ইউনিটটি চালু হবে একই বছরের জুলাই মাসে।
গত ২০ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় নিযুক্ত কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জ্যাং কিউন মাতারবাড়ী প্রকল্পের অগ্রগতি পরিদর্শন করেন। সেখানে কর্মরত ৭৫ জন কোরিয়ান প্রকৌশলীকে উত্সাহিত করেন। পরিদর্শনকালে রাষ্ট্রদূত বলেন, কোরিয়ান কোম্পানিগুলো বাংলাদেশের বড় অবকাঠামো প্রকল্পে সক্রিয়ভাবে জড়িত। যার মধ্যে রয়েছে ভান্ডাল জুড়ি পানি সরবরাহ প্রকল্প, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর টার্মিনাল-৩ প্রকল্প। কোভিড-১৯ মহামারিকালে এসব প্রকল্প চালুর পর সময়ানুবর্তিতা এবং উচ্চমানের জন্য বাংলাদেশের প্রশংসা পেয়েছে। কোরিয়ান কোম্পানিগুলো বাংলাদেশে বড় অবকাঠামো নির্মাণ প্রকল্পে তাদের কার্যক্রম সম্প্রসারণ করবে।
তিনি আরও বলেন, মাতারবাড়ি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের মাধ্যমে এই অঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহের উন্নতি ঘটবে বলে আশা করা হচ্ছে।