মালয়েশিয়ায় গ্রেপ্তার ঢাকা উত্তর বিএনপির সাবেক সভাপতি ও ওয়ার্ড কাউন্সিলর এম এ কাইয়ুমকে বাংলাদেশে পাঠাবে না দেশটির অভিবাসন বিভাগ। কুয়ালালামপুর হাইকোর্টে মামলা চলার কারণে তাকে দেশে না পাঠানোর কথা জানানো হয়েছে। অবৈধভাবে অবস্থানের কারণে অভিবাসন আইনে পুলিশ তাকে আটক করে।
ইতালীয় নাগরিক তাভেল্লা সিজার হত্যাসহ বহু ফৌজদারি মামলার আসামি ঢাকা উত্তর বিএনপির সাবেক সভাপতি ও ওয়ার্ড কাউন্সিলর এম এ কাইয়ুম। ২০১৫ সাল থেকে ইউএনএইচসিআরের তালিকাভুক্ত শরণার্থী হিসেবে মালয়েশিয়ায় ব্যবসা করছেন তিনি।
সরকারবিরোধী ষড়যন্ত্রের অভিযোগে গেল বছরের শেষে তার বাংলাদেশি পাসপোর্ট বাতিল হয়। এ অবস্থায় অবৈধভাবে অবস্থানের কারণে পুলিশ আটক করলেও কুয়ালালামপুর হাইকোর্টে চলা মামলার কারণে বাংলাদেশে ফেরত না পাঠানোর কথা জানিয়েছে দেশটির অভিবাসন বিভাগ।
বিএনপি-জামায়াতের শাসনামলেই মালয়েশিয়ায় সেকেন্ড হোম বানান কাইয়ুম। দীর্ঘদিন ধরেই সপরিবারে দেশটিতে অবস্থান করছেন তিনি। আবাসন ব্যবসা ছাড়াও মালয়েশিয়ায় তার অনেক ব্যবসা আছে। দেশটিতে থেকেই বাংলাদেশে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনাসহ নানা অপতৎপরতা চালাতেন তিনি। সেখানে বসেও বাংলাদেশি পাসপোর্ট ব্যবহার করে বিভিন্ন দেশে গিয়ে বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে নানান ষড়যন্ত্রে লিপ্তের অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
এ অবস্থায় ২০২৩ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশি পাসপোর্ট বাতিল করা হয় কাইয়ুমের। এরপর থেকেই মালয়েশিয়ায় অবৈধ হয়ে যান তিনি। গত ১২ জানুয়ারি অবৈধভাবে অবস্থানের কারণে অভিবাসন আইনের আওতায় তাকে আটক করে স্থানীয় আমপাং থানার পুলিশ।
তবে মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন ক্যাম্পে থাকা ৬৩ বছরের কাইয়ুমকে আদালতে চলমান মামলার কারণে কুয়ালালামপুর হাইকোর্টকে বাংলাদেশে ফেরত না পাঠানোর কথা জানিয়েছে দেশটির অভিবাসন বিভাগ।