চলতি সপ্তাহের প্রথম দুই কর্মদিবস রবি ও সোমবার (১৭-১৮ ডিসেম্বর) শেয়ারবাজারে বড় পতন হয়েছিল। ওই দুই দিনের পতনে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছিল ১৫ পয়েন্টের বেশি। তবে মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) বিপরীত চিত্রে ফেরে। এদিন ডিএসইর সূচক বাড়ে প্রায় ১০ পয়েন্ট। তারপর বুধবারও (২০ ডিসেম্বর) বড় উত্থানে শেষ বেলায় সামান্য ইতিবাচক প্রবণতায় থাকে।
সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) শেয়ারবাজারে বড় পতন হয়েছে। যদিও দিনের প্রথম ভাগে উভয় বাজার ইতিবাচক প্রবণতায় ছিল। কিন্তু মধ্যভাগ থেকে বাজার ক্রমশ পতনের ধারায় থাকে। যা শেষ বেলায় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পতনের গভীরতা আরও ঘনীভূত হয়।
এদিন বেলা সোয়া ১টার পর বাজারে রীতিমতো ‘পেনিক’ সৃষ্টি হয়। এই সময়ে বহু কোম্পানির শেয়ার ক্রেতাহীন অবস্থায় পড়ে যায়। বিশেষ করে কারসাজির শেয়ারগুলো সার্কিট ব্রেকারের সর্বনিম্ন স্তরে লেনদেন হতে দেখা যায়। এই সময়ে ডিএসইর সূচক ১৫ পয়েন্টের কাছাকাছি নেমে যায়। যদিও শেষবেলায় সূচকের অবস্থা কিছুটা উন্নতি হয়।
বৃহস্পতিবার ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১২ দশমিক ৬৯ পয়েন্ট কমেছে। বর্তমানে সূচকটি দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ২৪৯ পয়েন্টে। এছাড়া ডিএসইএস সূচক ২ পয়েন্ট এবং ডিএসই ৩০ সূচক ৪ দশমিক ৮৬ পয়েন্ট কমেছে।
এদিন ডিএসইতে মোট ৬২৬ কোটি ৯৬ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে। আগের কর্মদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৬৮৯ কোটি ৪৩ লাখ টাকা।
ডিএসইতে মোট ৩৫৯টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ১৯৮টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারদরই অপরিবর্তিত রয়েছে। দর বৃদ্ধি পেয়েছে ৫৫টি কোম্পানির। বাকি ১০৬টি কোম্পানির দাম কমেছে।
শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) ১১ কোটি ৫০ লাখ ৫১ হাজার টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
এছাড়া সিএসইতে ২০৪টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৪৫টির, কমেছে ৬৮টির। দর অপরিবর্তিত রয়েছে ৯১টি প্রতিষ্ঠানের।