বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলমকে নিয়ে চলছে নানা আলোচনা সমালোচনা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাকে নিয়ে নানান ধরনের গল্প ঘুরছে। কেউ কেউ তাকে নিষিদ্ধ সংগঠন ‘হিযবুত তাহরীর’ সদস্য বলে পোস্ট করেছেন। এবার সে বিষয়টি স্পষ্ট করে করেছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের ফ্যাক্ট চেকিং পেজ।
প্রেস উইং জানায়, মাহফুজ আলম হিজবুত তাহরী বা অন্য কোনো নিষিদ্ধ বা ইসলামপন্থি গোষ্ঠীর সদস্য নন। সোমবার (৪ নভেম্বর) এক ফেসবুক পোস্টে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রেস উইংয়ের ওই পোস্টে বলা হয়, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলমকে হিজবুত তাহরীরের সদস্য হিসেবে দাবি করে ফেসবুকে বেশকিছু পোস্ট দেওয়া হয়েছে। এতে ইংরেজি দৈনিক দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনের স্ক্রিনশট রয়েছে, যেখানে আবদুল্লাহ আল মাহফুজ নামে এক ব্যক্তিকে হিজবুত তাহরীরের সদস্য হিসেবে দাবি করা হয়েছে। অভিযুক্ত আবদুল্লাহ আল মাহফুজ ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম দুইজন ভিন্ন ব্যক্তি। দৈনিক আজকের পত্রিকার ফ্যাক্ট-চেকিং ইউনিট রোববার (৩ নভেম্বর) তাদের এক প্রতিবেদনে বিষয়টি পরিষ্কার করেছে।
ইংরেজি দৈনিক দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের ২০১৯ সালের একটি প্রতিবেদনের স্ক্রিনশট ফেসবুকে ছড়িয়ে দাবি করা হচ্ছে, ‘হিজবুত তাহরীরের সঙ্গে যুক্ত থাকায় ২০১৯ সালের নভেম্বরে চট্টগ্রামে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের হাতে গ্রেপ্তার হন মাহফুজ। তিনিই আজকের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী এবং কথিত বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নামে সরকার পতনের মাস্টারমাইন্ড।’