• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ভোটার উপস্থিতি কম, আমরাও দেখতে পাচ্ছি : ইসি রাশেদা


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: জুলাই ১৭, ২০২৩, ০২:০৮ পিএম
ভোটার উপস্থিতি কম, আমরাও দেখতে পাচ্ছি : ইসি রাশেদা
ফাইল ছবি

ঢাকা-১৭ আসনে বৃষ্টির কারণে ভোটার কম এবং বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটার বাড়বে বলে ধারণা নির্বাচন কমিশনের। সোমবার (১৭ জুলাই) দুপুরে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা এ কথা বলেন।

ইসি রাশেদা বলেন, “ভোটার উপস্থিতি কম আমরাও দেখতে পাচ্ছি। কারণ হিসেবে আমি ব্যক্তিগত ভাবে মনে করি , এটা খুবই স্বল্প সময়ের নির্বাচন; সংসদের মেয়াদ খুবই স্বল্প সময়ের। এটা একটা কারণ হতে পারে।”

ঢাকা-১৭ আসনটি অভিজাত এলাকা দাবি করে তিনি আরও বলেন, “ওটা একটা অভিজাত এলাকা। এই ভোটের ব্যাপারে ওনারা আগ্রহী হয়তো না-ও হতে পারেন। আমি ঠিক জানি না কী হয়েছে। এটা আমরা জানতে পারব আরও পরে। ভোট আগে হোক, ফলাফল হোক, কত শতাংশ হয় দেখি আমরা। গ্রহণযোগ্য পারসেন্ট হতেও তো পারে।”

বৃষ্টির কারণে ভোটার আসতে পারেনি উল্লেখ করে রাশেদা সুলতানা বলেন, “আমি যখন গেছি তখন টিপটিপ বৃষ্টি হচ্ছিল। এটাও হতে পারে, বৃষ্টি কারণে ওই সময় ভোটাররা আসেননি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ভোটার বাড়বে বলে আমাদের ধারণা।”

নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেওয়া স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. তারিকুল ইসলাম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমরা তদন্ত করব, সত্যি কি না মিথ্যা দেখব। অভিযোগ কিন্তু নানাজন, নানাভাবে আনতে পারে। অভিযোগ এলেই সত্য বা মিথ্যা, তা কিন্তু না। সেটার সত্যতা যাচাই করা দরকার। সত্যতা যাচাইয়ের পরে নিশ্চয়ই আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব।”

আমাদের কাছে হিরো আলমের কোনো অভিযোগ আসেনি দাবি করে তিনি আরও বলেন, “আমাদের কাছে অভিযোগ ওইভাবে আসেনি। যদি সেটা হয়েও থাকে উনি রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে জানাতে পারতেন। জানিয়েছেন কি না, তা-ও জানি না। ভোট বন্ধ হয়ে গেছে এ রকম তো নেই। হয়তো ক্ষণস্থায়ী সময়ের জন্য কিছু... জানি না কী হয়েছে। আমরা অবশ্যই এটার তথ্য নেব এবং ব্যবস্থা নেব।”

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ১৫, ১৮, ১৯ ও ২০ নম্বর ওয়ার্ড এবং ঢাকা সেনানিবাস এলাকা নিয়ে গঠিত ঢাকা-১৭ আসনে ১২৪টি ভোটকেন্দ্রের অধীনে ৬০৫টি ভোটকক্ষের মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ২৫ হাজার ২০৫। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৭১ হাজার ৬২৫ জন এবং নারী ভোটার ১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৮০ জন।

এ উপনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রার্থীরা হলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী আরাফাত (নৌকা প্রতীক), জাতীয় পার্টির সিকদার আনিসুর রহমান (লাঙ্গল), স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম (একতারা), জাকের পার্টির কাজী রশিদুল হাসান (গোলাপ), বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের আক্তার হোসেন (ছড়ি), স্বতন্ত্র প্রার্থী তরিকুল ইসলাম ভূঁইয়া (ট্রাক), বাংলাদেশ কংগ্রেসের রেজাউল করিম স্বপন (ডাব) এবং তৃণমূল বিএনপির শেখ হাবিবুর রহমান (সোনালি আঁশ)।

Link copied!