বঙ্গোপসাগরে থাকা সুস্পষ্ট লঘুচাপটি শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। শনিবার (২ ডিসেম্বর) এটি গভীর নিম্নচাপ এবং পরে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। নিম্নচাপের কারণে সাগর উত্তাল থাকায় চট্টগ্রাম, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দর এবং কক্সবাজারকে এক নম্বর দূরবর্তী সতর্কসংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. তরিফুল নেওয়াজ কবির বলেন, “নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিলে তা বাংলাদেশের দিকে আসার আশঙ্কা কম।
এটি ভারতের দক্ষিণ অন্ধ্র উপকূল দিয়ে অতিক্রম করতে পারে। এরপর তা অনেকটাই দুর্বল হয়ে বৃষ্টি আকারে বাংলাদেশে আসতে পারে। এর ফলে ৬ ডিসেম্বরের পর ঢাকা, সিলেট, চট্টগ্রাম, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কোনো কোনো জায়গায় বৃষ্টি হতে পারে।”
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, শনিবার শেষরাত থেকে রোববার (৩ ডিসেম্বর) সকাল পর্যন্ত দেশের উত্তরাঞ্চল ও নদী অববাহিকার কোথাও কোথাও হালকা কুয়াশা পড়তে পারে। অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকলে বাড়তে পারে রাতের তাপমাত্রা।
শুক্রবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে ৩২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল কুড়িগ্রামের রাজারহাটে ১৪ দশমিক ৭ ডিগ্রি।