হজযাত্রায় এজেন্সির গাফলতি থাকলে লাইসেন্স বাতিল ও জরিমানা করা হবে বলে জানিয়েছে ধর্মবিষয়ক উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন। তিনি বলেছেন, “এজেন্সির অবহেলা বা গাফলতির কারণে কোনো হজযাত্রী হজ করতে না পারলে, সে দায় সংশ্লিষ্ট এজেন্সিকে নিতে হবে। এ দায় কোনোভাবেই সৌদি সরকার কিংবা ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় বহন করবে না।”
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে ২০২৫ সালের হজ ব্যবস্থাপনার অগ্রগতি নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, “এ পর্যন্ত অর্ধেকের কিছু বেশি এজেন্সি চুক্তি সম্পাদন করেছে এবং আরও অর্ধেকের মত বাকি আছে। সময় আছে আমাদের ৪ দিন। এর পরে যদি কেউ আমাদের বলে টাইম বাড়ান, এটা আমাদের সুযোগ নাই। এটা আমাদের হাতে নাই। এটা সৌদি সরকারের ব্যাপার।”
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, “গত বছরের ২৩ অক্টোবর সৌদি মন্ত্রণালয় থেকে এ সময়সীমার ব্যাপারে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এরপর আরও কয়েক দফা বিষয়টি জানানো হয়েছিল। সে মোতাবেক ধর্ম মন্ত্রণালয় হতে এজেন্সিগুলোকে জানানো হয়েছিল। এবার মন্ত্রণালয় থেকে বিষয়গুলো সার্বক্ষণিক তদারকি করা হচ্ছে।”
আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, “গতকালও (৯ ফেব্রুয়ারি) এজেন্সিদের আমরা তাগিদ দিয়েছি। তাদের সঙ্গে সভা করেছি। তারা যেন বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে মিনা ও আরাফায় তাঁবু ও ক্যাটারিংয়ের জন্য সার্ভিস কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি, বাড়ি বা হোটেল কর্তৃপক্ষের সাথে চুক্তি, পরিবহন কোম্পানির সঙ্গে চুক্তিগুলো সম্পাদন করবেন।”
এ বছর হজযাত্রীরা সন্তোষজনক সেবা পাবেন বলে আশা প্রকাশ করেন আ ফ ম খালিদ হোসেন। তিনি বলেন, “এরূপ শক্তিশালী একটি কমিটি এ বছর সরকারি মাধ্যমের হজযাত্রীদের জন্য বাড়িভাড়ার কাজটি সম্পন্ন করেছে। এই কমিটি বাড়িভাড়া কোটেশনের পরিপ্রেক্ষিতে দরদাতাদের বাড়িগুলো পরিদর্শন ও পর্যবেক্ষণ করেছে। প্রাথমিকভাবে বাছাই করা বাড়িগুলো দুই বা ততোধিকবার সরজমিনে পরিদর্শন করেছে।”
আ ফ ম খালিদ হোসেন আরও বলেন, “বাড়িগুলোর মান, আনুষঙ্গিক সুবিধা, হারাম শরীফ হতে দূরত্ব, হজ প্যাকেজে প্রতিশ্রুত সেবা ও বাড়িভাড়া বাবদ বরাদ্দ-এসকল বিষয়গুলো চুলচেরা বিশ্লেষণ করে এই কমিটি সর্বোত্তম বাড়িগুলো ভাড়া করেছে এবং বাড়িভাড়া চুক্তিও সম্পাদন করেছে। এ কমিটি বিধি মোতাবেক বাড়িভাড়া করার ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার জন্য সর্বান্তঃকরণে চেষ্টা করেছে।”