• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
এমপি আনার হত্যাকাণ্ড

মাস্টারমাইন্ড শাহীনকে গ্রেপ্তারে যুক্তরাষ্ট্রে চিঠি


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: জুন ২৬, ২০২৪, ০৮:১২ পিএম
মাস্টারমাইন্ড শাহীনকে গ্রেপ্তারে যুক্তরাষ্ট্রে চিঠি
আনার হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড শাহীন। ছবি: সংগৃহীত

ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যার দুই আসামি ফয়সাল ও মুস্তাফিজকে খাগড়াছড়ির গহীন পাহাড়ে ছদ্মবেশে আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদের নেতৃত্বে খাগড়াছড়ির সীতাকুণ্ডের পাথাল কালীমন্দীরে বুধবার (২৬ জুন) দুপুরে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

ফয়সাল নিজের নাম বদলে রেখেছিলেন পলাশ দাস। আর মুস্তাফিজ নাম ধারন করেছিলেন শিমুল রায় নামে। তারা সীতাকুণ্ডের পাথাল কালীমন্দীরে ছদ্মবেশে কাটিয়ে দিয়েছেন ২৩ দিন। খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করে হেলিকপ্টারে ঢাকায় আনা হয়।

সন্ধ্যায় রাজধানীর ৩০০ ফিটের পূর্বাচলে ১৮ নম্বর সেক্টরে বঙ্গবন্ধু ট্রাই টাওয়ারে অবতরণের পর সাংবাদিকদের ডিবি প্রধান হারুন অর রশীদ বলেন, “এমপি আনার হত্যাকাণ্ডের মূল ঘাতক ছিলেন শিমুল ভূঁইয়া। তার সঙ্গে থেকে ফয়সাল, মোস্তাফিজ, জিহাদ কিলিং মিশনে অংশ নেন। হত্যাকাণ্ডের পর গত ১৯ মে বাংলাদেশে আসেন দুই আসামি ফয়সাল ও মোস্তাফিজ। পরদিন ২০ মে তাদের দুজনকে মাত্র ৩০ হাজার টাকা করে দেয়া হয়। এরপর থেকে তারা বিভিন্নভাবে দেশ থেকে পালানোর চেষ্টা করেছিল।”

ডিবি প্রধান আরও বলেন, “বিভিন্ন জায়গায় পলাতক দুই আসামির অবস্থানের তথ্য পাচ্ছিলাম। অবশেষে মঙ্গলবার (২৫ জুন) জানতে পারি তারা খাগড়াছড়ির গহীন পাহাড়ে রয়েছে।”

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, “এমপি আনার হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড আখতারুজ্জামান শাহীনকে গ্রেপ্তার করাই এখন মূল টার্গেট। যুক্তরাষ্ট্রের ইন্টেলিজেন্সকে চিঠি দেয়া হয়েছে। ভারতের সঙ্গে আমেরিকার চুক্তি রয়েছে, তারাও চেষ্টা করছে ধরার। আমরাও চেষ্টা করছি।”

প্রসঙ্গত, চিকিৎসার কথা বলে গত ১২ মে কলকাতায় গিয়ে বহুদিনের বন্ধু গোপাল বিশ্বাসের বাসায় ওঠেন এমপি আনার। সেখানে রাত কাটানোর পর পরদিন ১৩ মে বাসা থেকে বের হলে খুনিদের একজন ফয়সাল তাকে একটি সাদা গাড়িতে করে নিউ টাউনের ভাড়া করা সেই ফ্ল্যাটে নিয়ে যান।

ঢাকা ও কলকাতার গোয়েন্দা সূত্রগুলোর বরাত দিয়ে গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, ওইদিন দুপুর ২টা ৫১ মিনিটে এমপি আনার সেই ফ্ল্যাটে প্রবেশ করেন। খুনিরা পরবর্তী আধা ঘণ্টার মধ্যে পরিকল্পনা অনুযায়ী তাকে হত্যা করে। তবে তারা এমপি আনারের মোবাইল ফোন চালু রাখে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বিভ্রান্ত করার জন্য বিভিন্ন জনকে টেক্সট মেসেজ পাঠায়।

লাশ লুকানোর জন্য ভারতীয় ক্যাবচালক রাজুকে ভাড়া করা হয়েছিল। খুনিরা এমপি আনারের লাশটি এমনভাবে টুকরো টুকরো করেছে যে, মানুষের দেহাবশেষ হিসেবে শনাক্ত করা কঠিন। পরিকল্পনা মোতাবেক সবকিছু ঠিকঠাক মতো সম্পন্ন হলে ১৫ মে মূল খুনি আমানুল্লাহ ওরফে শিমুল ভূঁইয়া এবং আক্তারুজ্জামানের বান্ধবী শিলাস্তি রহমান বাংলাদেশে ফিরে আসেন। 

Link copied!