টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি এবং তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম বলেছেন, “বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহীদ ও আহতদের আমরা যেন ভুলে না যাই। তাদের পাশে দাঁড়ানো আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।”
মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) বিকেলে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহীদ নাসিব হাসান রিয়ানের স্মরণে অনুষ্ঠিত দোয়া ও আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহত সকল শহীদ ও আহতদের স্মরণ করে নাহিদ ইসলাম বলেন, “শিক্ষার্থীরা মৃত্যুর জন্য প্রস্তুতি নিয়েই আন্দোলনে অংশ নিয়েছেন। একটা নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য আমরা লড়াই করেছি, রক্ত দিয়েছি। আমরা এমনভাবে রাষ্ট্রকাঠামো পুনর্গঠন করতে চাই যেন, ফ্যাসিবাদ আর ফিরে আসতে না পারে।”
শহীদ নাসিব হাসান রিয়ান প্রসঙ্গে তথ্য উপদেষ্টা বলেন, “সে ফেসবুকে ঘোষণা দিয়ে রাজপথে নেমেছে। মৃত্যুর ভয়কে তুচ্ছ করে সে আন্দোলনে অংশ নিয়েছে।”
আন্দোলনে শহীদ নাসিবের বাবার অবদানের কথা স্মরণ করে নাহিদ বলেন, “নাসিব যখন লাঠি হাতে আন্দোলনে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল, তখন নাসিবের বাবা তার ছেলের হাতের লাঠি পরিবর্তন করে শক্ত লাঠি তুলে দিয়েছেন। নাসিবের বাবার মতো অনেক অভিভাবক এভাবে আন্দোলনে উৎসাহ যুগিয়েছেন।”
আন্দোলনে নিজের অংশগ্রহণের কথা উল্লেখ করে উপদেষ্টা নাহিদ বলেন, “আমিও পরিবারের বাধা উপেক্ষা করে আন্দোলনে অংশ নিয়েছি।”
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের প্রমাণক সংরক্ষণের ওপর গুরুত্বারোপ করে তথ্য উপদেষ্টা বলেন, “এসব প্রমাণক বারবার প্রচার করতে হবে, তা না হলে অনেকে আন্দোলনের ইতিহাস ভুলে যাবেন।”
নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, “বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহীদ ও আহতদের দায়িত্ব নেবে সরকার। এই আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন তাদের পরিবার ও আহতদের প্রতি সবার কৃতজ্ঞ থাকা উচিত। শহীদ পরিবার ও আহতদের পাশে থাকার জন্য সরকারি কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান করছি।”
গত ৫ আগস্ট ঢাকায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে শহীদ হন নাসিব হাসান রিয়ান। তিনি ঢাকার মিরপুরের বিসিআইসি কলেজের একাদশ শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন।