বিশ্ব ইজতেমা ও তাবলিগ জামাতকে ‘ধর্মীয় পর্যটন’ ঘোষণার দাবিতে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। ধর্ম মন্ত্রণালয়, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সচিব, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ডিজি, বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান ও কাকরাইলে তাবলিগের মারকাজ মসজিদের প্রধানকে এ নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
রোববার (৩০ জুলাই) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মাহমুদুল হাসান এ নোটিশ পাঠান।
এতে বলা হয়েছে, সারা বিশ্বে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় মহাসমাবেশ পবিত্র হজ। হজের নির্ধারিত সময় ছাড়াও সারা বছর বিশ্বের মুসলিমরা সৌদি আরবে ওমরাহ পালন করে থাকেন। হজ ও ওমরা থেকে সৌদি আরব বিপুল পরিমাণ অর্থ আয় করে থাকে।
নোটিশে বলা হয়, ইজতেমা ছাড়াও সারা বছর তাবলিগের কার্যক্রম চলমান থাকে। বিশ্ব ইজতেমা ও তাবলিগের কার্যক্রমে ব্যাপকসংখ্যক বিদেশি মুসলিম পর্যটকদের আকৃষ্ট করে বাংলাদেশে আনতে পারলে প্রতিবছর কয়েক বিলিয়ন ডলার বৈদেশিক মুদ্রা আয় করতে পারবে এবং দেশের সামষ্টিক অর্থনীতির ব্যাপক উন্নয়ন হবে।
বাংলাদেশ একটি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ। তাই এখানে পাশ্চাত্যের দেশগুলোর মতো অবাধ যৌনতা, অ্যালকোহল, ক্যাসিনোভিত্তিক পর্যটন খাত তৈরি করা সম্ভব নয় উল্লেখ করে নোটিশে বলা হয়, এ ক্ষেত্রে ধর্মীয় পর্যটন বাংলাদেশের একটি ব্যাপক সম্ভাবনাময় খাত। বাংলাদেশে যদি প্রতিবছর বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষে ১০ লাখ বিদেশি মুসলিম পর্যটক আনা যায়, তাহলে এর মাধ্যমে কয়েক বিলিয়ন ডলার আয় করা সম্ভব হবে। এ ছাড়া এসব মুসলিম পর্যটক বাংলাদেশের বিভিন্ন পণ্য কিনবেন, যার মাধ্যমে দেশের অর্থনীতির ব্যাপক উন্নয়ন হবে।