প্রযুক্তি বিষয়ক খ্যাতনামা ওয়েবসাইট টেকক্রাঞ্চ বলছে, বাংলাদেশের একটি ওয়েবসাইট থেকে লাখ লাখ নাগরিকের তথ্য ফাঁস হয়ে গেছে।
এসব তথ্যে নাগরিকের সম্পুর্ণ নাম, ফোন নম্বর, ই-মেইল ঠিকানা, এবং জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর রয়েছে।
গত ২৭ জুন বিটক্র্যাক সাইবার সিকিউরিটির গবেষক ভিক্টর মার্কোপোলোস ঘটনাক্রমে এই বিষয়টি আবিস্কার করেন বলে ৭ জুলাই রাতে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে টেকক্রাঞ্চ।
‘বাংলাদেশ গভর্মেন্ট ওয়েবসাইট লিকস সিটিজেনস পারসোনাল ডাটা’ শিরোনামের ওই পতিবেদনে টেকক্রাঞ্চ বলছে, ফাঁসের বিষয়টি আবিস্কারের পর বাংলাদেশ ই-গভর্নমেন্ট কম্পিউটার ইনসিডেন্ট রেসপন্স টিমের সঙ্গে যোগাযোগ করেন মার্কোপোলোস।
তিনি জানান, ফাঁস হওয়া তথ্যের মধ্যে লাখ লাখ নাগরিকের বিস্তারিত রয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ফাঁস হওয়া তথ্যগুলো বৈধ কিনা তা টেকক্রাঞ্চ একটি পাবলিক সার্চ টুলের মাধ্যমে যাচাই করছে।
তবে টেকক্রাঞ্চ ওয়েবসাইটির নাম জানায়নি। কারণ তথ্যগুলো এখনও অনলাইনে পাওয়া যাচ্ছে।
প্রযুক্তি সংস্থাটি আরও জানায়, অন্য কাজ করার সময় অনিচ্ছাকৃতভাবেই এই ফাঁসের বিষয়গুলি ধরতে পারেন মার্কোপোলোস।
তিনি বলেছেন, “ডাটাগুলো পাওয়া খুব সহজ ছিল। তবে এটি খোঁজার কোনো ইচ্ছাই আমার ছিল না। এটা শুধু একটি গুগল সার্চের ফলাফল হিসেবে পেয়েছি। আমি গুগলে এসকিউএল ত্রুটি নিয়ে কাজ করার সময় এই তথ্যগুলো পেয়ে যাই।”
বাংলাদেশে সর্বনিম্ন ১৮ বছর এবং তদুর্ধ বয়সী ব্যক্তিদের একটি জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়া হয়। যেটি নাগরিকের পরিচয়পত্র হিসেবে পরিষেবার সকল কাজে ব্যবহৃত হয়।
এই কার্ডটি সব নাগরিকের জন্য বাধ্যতামূলক। পাশাপাশি বিভিন্ন পরিষেবা যেমন- ড্রাইভিং লাইসেন্স, পাসপোর্ট, জমি কেন-বেচা, ব্যাংক একাউন্ট খোলাসহ আরও নানাবিধ কাজে লাগে এটি।
বাংলাদেশের সিআরটি, সরকারের প্রেস অফিস, ওয়াসিংটন ডিসিতে দূতাবাস এবং নিউইয়র্ক সিটিতে কনস্যুলেটের কাছে এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলেও কোনো সারা পাওয়া যায়নি বলে প্রতিবেদনে জানায় টেকক্রাঞ্চ।
এদিকে বিজিডি ই-গভ সিআইআরটির প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ সাইফুল আলম খান গণমাধ্যমকে বলেন, তথ্য ফাঁসের বিষয়টি তাদের নজরে এসেছে এবং আজ বিকেলে তারা বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানাবেন।