• ঢাকা
  • রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ভাস্কর শামীম সিকদারকে সর্বস্তরের শেষ শ্রদ্ধা


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: মার্চ ২২, ২০২৩, ০৬:১২ পিএম
ভাস্কর শামীম সিকদারকে সর্বস্তরের শেষ শ্রদ্ধা

তিনি এলেন। তাঁর প্রিয় প্রাঙ্গণে এলেন। কিন্তু সেই দীপ্ত পায়ে নয়। এলেন নিথর দেহে। ভাস্কর শামীম সিকদার। তাঁর মরদেহে নিয়ে আসা হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা প্রাঙ্গণে। 
বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় সেখানে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে সর্বস্তরের মানুষের ঢল নামে। এ সময় বিভিন্ন সংগঠন থেকে ফুল দিয়ে এই শিল্পীকে শ্রদ্ধা জানানো হয়। শ্রদ্ধা জানাতে আসেন চারুকলার এই সাবেক অধ্যাপকের একসময়ের শিক্ষার্থীরাও।  
শ্রদ্ধা নিবেদন করতে এসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান বলেন, “একজন নারী ভাস্কর হিসেবে বাংলাদেশ ও উপমহাদেশে তিনি অন্যতম প্রতিকৃতি স্থাপন করে গেছেন। তিনি ছিলেন অত্যন্ত বলিষ্ঠ, সাহসী ও স্পষ্টভাষী। বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই এই খ্যাতিমান অধ্যাপক শামীম সিকদারের প্রতি।”
আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানাতে আসেন দলটির সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল হোসেন। সংবাদ প্রকাশকে তিনি বলেন, “শামীম সিকদারের প্রয়াণের পরেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শোক জানিয়েছেন। এই ভাস্কর তাঁর শিল্পকর্ম, ব্যক্তিগত জীবন সবকিছুর মধ্যেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় লালিত ছিলেন। জাতি একজন শ্রেষ্ঠ সম্পদকে হারালো।” 
এসময় তার সহপাঠী চারুকলা অনুষদের অধ্যাপক ফরিদা জামান স্মৃতিকাতর হয়ে বলেন, “হঠাৎ করে আমাদের মনে হলো, আমরা একটা প্রদর্শনী করবো। প্রদর্শনীটা ছিল মেয়েদের প্রথম প্রদর্শনী। শামীম বলতো, আমরা সব করবো, আমরা পারবো। এটাই ওর আসল চেহারা। ওকে বাহিরে থেকে দেখতে একরকম লাগলেও, ভেতরে থেকে অনেক আন্তরিক ছিল।     
শামীম শিকদারের ছোট ভাই ড. নাজমুল হক শিকদার অনুরোধ করেন, শিল্পীরা যেন তার বোনের অসমাপ্ত কাজ শেষ করেন। রাষ্ট্র যতটুকু সম্মান করার করেছেন তবে আমরা চাই আরও সম্মান করুক, এগিয়ে আসুক। অসম্পূর্ন কাজগুলো আমরা করতে না পারলে রাষ্ট্র যেন এগিয়ে আসেন এবং সহযোগিতা করেন।
শামীম সিকদারের ভাস্কর্যগুলোর কিউরেটর মো. ইমরান হোসেন জানান, তার পরিবারের সদস্য ও শিল্পীদের সঙ্গে কথা বলে দাফনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শুক্রবার মোহাম্মদপুরে শামীম সিকদারের বাবা-মায়ের কবরের পাশে তাকে দাফনের পরিকল্পনা রয়েছে।
ঢাবির চারুকলা অনুষদের ভাস্কর্য বিভাগের অধ্যাপক শামীম শিকদার ১৯৯০ সালে টিএসসিতে ‘স্বোপার্জিত স্বাধীনতা’ এবং ফুলার রোড এলাকায় ‘স্বাধীনতা সংগ্রাম’ শীর্ষক ভাস্কর্য নির্মাণ করেন। এর আগে ১৯৭৪ সালে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মরণে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে একটি ভাস্কর্য নির্মাণ করেন। শামীম সিকদার ২০০০ সালে একুশে পদক পান। ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে মঙ্গলবার বিকেলে তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন।
 

Link copied!