প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে টেলিফোনে আলাপ করেছেন কুয়েতের প্রধানমন্ত্রী শেখ আহমাদ নাওয়াফ আল-আহমাদ আল-সাবাহ।
বুধবার (৫ জুলাই) তারা এই আলাপ করেন।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
আলোচনার শুরুতে কুয়েতের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার মাধ্যমে বাংলাদেশের ভ্রাতৃপ্রতিম জনগণকে শুভেচ্ছা জানান। দুই নেতা দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন এবং দুই বন্ধুপ্রতীম দেশের মধ্যে সম্পর্ক সময়ের সঙ্গে আরও গভীর হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেন।
কুয়েতের প্রধানমন্ত্রী টেলিফোন করায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী তাকে ধন্যবাদ জানান। একইসঙ্গে তিনি তার মাধ্যমে কুয়েতের ভ্রাতৃপ্রতিম জনগণকে ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা জানান।
শেখ হাসিনা আনন্দের সঙ্গে উল্লেখ করেন যে, কুয়েতে কর্মরত বাংলাদেশিরা এবং কুয়েত সেনাবাহিনীর ‘বাংলাদেশ কন্টিনজেন্ট’ দুই দেশের মধ্যকার দীর্ঘকালের সম্পর্কের অংশীদারিত্বের উত্তরাধিকার ও শক্তি বহন করে।
জবাবে কুয়েতি প্রধানমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী আল-সাবাহ আনন্দের সঙ্গে তার দেশের প্রতিরক্ষা খাত পুনর্গঠনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নিবেদিত ও পরিশ্রমী ভূমিকার কথা স্মরণ করেন। দুই দেশের উন্নয়নে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভূমিকারও প্রশংসা করেন তিনি।
পাশাপাশি উভয় নেতাই অলিম্পিক কাউন্সিল অফ এশিয়ায় (ওসিএ) একসঙ্গে কাজ করতে সম্মত হন। টেলিফোনে আলাপকালে দুই নেতা একে অপরকে নিজ নিজ দেশে সফরের জন্য আমন্ত্রণ জানান। এ সময় তারা দুই দেশের সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা বাড়ানোর জন্য নিয়মিত পরামর্শ ও উচ্চ পর্যায়ের সফরের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
পরস্পরের প্রতি শুভ কামনা বিনিময় ও সুস্বাস্থ্য কামনা করে টেলিফোন আলাপ শেষ হয়। এছাড়া তারা শেষ দিকে দুই দেশের জনগণের সমৃদ্ধিও কামনা করেন।