কোরবানির পশুর হাটে নিরাপদ লেনদেন নিশ্চিত করতে আটটি অস্থায়ী হাটে ‘স্মার্ট হাট’ চালু করছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। যেখানে ক্রেতা বিক্রেতা উভই ব্যাংকিং কার্ড ও মোবাইল ব্যাংকের মাধ্যমে তাদের লেনদেন করতে পারবে। অর্থাৎ নগদ টাকা ছাড়াই এসব হাটে পশু কেনাবেচা করা যাবে।
বুধবার (১৯ জুন) সকালে রাজধানীর হোটেল শেরাটনে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠিত ডিএনসিসির সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়েছে, ডিএনসিসির ‘স্মার্ট বাংলাদেশ স্মার্ট হাট’ নামক পাইলট প্রকল্প সফল করতে বাংলাদেশ ব্যাংক ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন যৌথভাবে কাজ করছে। সহযোগিতা করছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস অ্যাসোসিয়েশন।
সংবাদ সম্মেলনে মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, “গত বছর ডিজিটাল লেনদেনের মাধ্যমে ২ হাজার ৭০০ কোটি টাকার পশু বিক্রি হয়েছে। আমরা সব সময় চিন্তা করেছি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন থেকে ইনোভেটিভ কিছু করার জন্য। ডিএনসিসি গতবারের মতো এবারও অস্থায়ী হাটগুলোতে ডিজিটাল লেনদেনের ব্যবস্থা করছে।”
ডিএনসিসির মেয়র আরও বলেন, “আমরা ডিজিটাল হাট যেটা করতে যাচ্ছি। স্মার্ট বাংলাদেশের স্মার্ট সিটি ঢাকা। সে জন্য স্মার্ট হাট করেছি। এখান থেকে সিটি করপোরেশন আয় করবে না। স্মার্ট হাটে যারা সার্ভিস দিচ্ছেন ব্যাংক বিকাশ ও নগদ কোনো সার্ভিস চার্জ নিচ্ছে না। এর ফলে আমরা স্মার্টলি বিষয়টি ডিল করতে চাচ্ছি। নগরবাসী ও খামারিরা যারা আছেন তারা যেন স্বচ্ছন্দে গরু বেচাকেনা করতে পারেন।”
মেয়র আতিক বলেন, “অনেক ক্রেতা, বিক্রেতা নগদ টাকা নিয়ে হাটে যাবেন। ওই টাকাটা খোয়ানোর আশঙ্কা থাকে। পাশাপাশি মলম পার্টির খপ্পরে পড়ে জীবনের ঝুঁকি তৈরি হতে পারে। ডিজিটাল লেনদেন করলে ক্রেতা বিক্রেতার কারোই এই আশংকা থাকে না।”
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, স্মার্ট হাটে ডিজিটাল পেমেন্ট বুথ স্থাপন করা হবে। ফলে হাটে আসা ক্রেতা-বিক্রেতাদের নগদ টাকা বহন করতে হবে না। হাটের বুথ থেকে ক্রেতারা ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে পিওএস, মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিসেস, কিউআর কোডের মাধ্যমে অথবা বুথে স্থাপন করা এটিএম মেশিন থেকে নগদ অর্থ তুলে হাট থেকে কেনা গরুর মূল্য পরিশোধ করতে পারবেন। পাশাপাশি হাটের হাসিলও দিতে পারবেন এই পদ্ধতিতে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী, ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম রেজা, বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মো. খুরশীদ আলম, অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স, বাংলাদেশের (এবিবি) চেয়ারম্যান সেলিম আর এফ হোসেন।