আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের সব সিস্টেমগুলোকে ধ্বংস করে দিয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক ও জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম। তিনি বলেছেন, “আমাদের এই বাংলাদেশে অবশ্যই যৌক্তিক সময়ে নির্বাচন হবে। কিন্তু তার পূর্বে এই খুনি হাসিনা আমাদের সিস্টেমগুলোকে যে ধ্বংস করে দিয়েছে, সেগুলোকে আগে সংস্কার করতে হবে।”
সোমবার (৬ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ফরিদপুরের রাজেন্দ্র কলেজ মাঠে তিনি এসব কথা বলেন।
সারজিস আলম বলেন, “আমাদের এই বাংলাদেশ আর কোনো নতজানু পররাষ্ট্রনীতিতে বিশ্বাস করে না। আমরা চোখে চোখ রেখে পররাষ্ট্রনীতি ঠিক করব। পৃথিবীর যেকোনো পরাশক্তি যদি বিন্দুমাত্র চিন্তা করে তারা বাংলাদেশকে ডমিনেট করে কোনো পররাষ্ট্রনীতি নির্ধারণ করবে, আমরা তা ছুঁড়ে ফেলে দেবো।”
জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক বলেন, “আমরা জুলাইয়ের ঘোষণাপত্রের কথা বলেছি। আপনারা রক্ত দিয়ে, জীবন দিয়ে এ অভ্যুত্থানকে সফল করেছেন। এই অভ্যুত্থান সংবিধানের গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় স্বীকৃতি থাকতে হবে। এই অভ্যুত্থানের স্বীকৃতি সংবিধানের লিপিবদ্ধ থাকতে হবে, এই চব্বিশে যারা জীবন দিয়েছে, আমার শহীদ ভাইরা, আমাদের আহত যোদ্ধারা তাদের স্বীকৃতি এই ঘোষণাপত্রে থাকতে হবে।”
সারজিস আলম আরও বলেন, “যে প্ল্যাটফর্মকে সামনে রেখে ফ্যাসিস্ট বিরোধী আন্দোলনে পুরো বাংলাদেশ ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল, সেই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নাম ওই ঘোষণাপত্রে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকতে হবে।”
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক পরিষদের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহর সভাপতিত্বে ও কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সেল সম্পাদক জাহিদ হাসানের সঞ্চালনায় ছাত্র সমাবেশে স্বাগত বক্তব্য দেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির সমন্বয়ক হাসিব আল ইসলাম, নাবিলা তানিয়া, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক ফারহান হাসান বর্ণ, সমন্বয়ক রিফাত রশীদ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ফরিদপুর জেলার নেতা আবরার নাদিম ইতু, সোহেল রানা প্রমুখ।