দেশে টাকা ছাড়াও কিডনি প্রতিস্থাপন সম্ভব বলে জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেছেন, “ভারতে গিয়ে ৪০ লাখ টাকা দিয়ে আসে একটা কিডনি প্রতিস্থাপন করতে। অথচ আমার এখানে দুই লাখ টাকায় সম্ভব। আর কোনো টাকাই লাগবে না, যদি কেউ ক্যাডাভেরিক ট্রান্সপ্ল্যান্ট করে কিংবা দেহদান করে।”
রোববার (১১ জুন) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজের এনাটমি বিভাগ কর্তৃক আয়োজিত মরণোত্তর দেহদানকারী ও দেহদানের অঙ্গীকারকারী ব্যক্তিদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মরণোত্তর দেহ মেডিকেলে কী কী কাজে ব্যবহৃত হয়, সেসবের বর্ণনা করে ড. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, “একটি সুখবর হলো কেউ যদি মরণোত্তর দেহদান করেন, তাহলে তার দ্বারা অনেকগুলো কাজ করা হয়। গবেষণা, ছাত্রদের লেখাপড়া ও আরেকটা হলো ক্যাডাভেরিক ট্রান্সপ্ল্যান্ট। যারা কার্ড পেয়েছেন তাদের কেউ যদি আইসিওইউতে যান, তাদের যদি ব্রেন ডেথ হয় তাহলে ওই ব্যক্তি থেকে ৮ ব্যক্তিকে হেল্প করতে পারব আমরা।”
তিনি আরও বলেন, “যারা মরণোত্তর দেহদান করেছেন তাদের এই মেডিকেল কলেজে অগ্রাধিকার দেবো। ফ্রি চিকিৎসার ব্যাপারে আমি সরকারকে জানাবো। সরকার যদি ফান্ড দেয় তাহলে আমরা ফ্রি চিকিৎসা দেবো।”
এনাটমি শিক্ষাকে বাস্তবে একটি গবেষণা কেন্দ্র করার জন্য একটি কারিকুলাম করেছেন এনাটমি বিভাগ। তা সবার সামনে উপস্থাপন করেন এনাটমি বিভাগের অধ্যাপক ও চেয়ারম্যান ড. লায়লা আনজুমান বানু।
ড. লায়লা আনজুমান বানু বলেন, “যারা আপনাদের সর্বোত্তম ভালোবাসার জিনিসটি আমাদের হাতে তুলে দিচ্ছেন, আমরা চেষ্টা করব তা দিয়ে সত্যিকারের গবেষণা ও মানব স্বাস্থ্যের যে উন্নয়ন সেখানে ব্যয় করতে পারি।”
এসময় মরণোত্তর দেহদানকারী পরিবারের সদস্য, দেহদানের অঙ্গীকারকারীসহ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজের বিভিন্ন বিভাগের ডাক্তারেরা উপস্থিত ছিলেন।