মাত্র ৫৯৫ টাকা কেজিতে গরুর মাংস বিক্রি করে আলোচনায় এসেছিলেন ব্যবসায়ী খলিলুর রহমান খলিল। তবে হঠাৎই মাংস ব্যবসা ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। আগামী ২০ রমজানের পর থেকে আর মাংস বিক্রি করবেন না বলে জানান খলিল। তার নামের দোকানটি কর্মচারীদের দিয়ে দিচ্ছেন তিনি। তার এমন ঘোষণার পর থেকেই আবারও নতুন করে আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
সোমবার (২৫ মার্চ) এ বিষয়ে খলিলের সঙ্গে কথা বলেন সংবাদ প্রকাশের প্রতিবেদক।
খলিল সংবাদ প্রকাশকে বলেন, “২০ রমজানের পর মাংস বিক্রি বন্ধের ঘোষণা দিইনি। আমি বলেছি, আগামী ২০ রমজানের পর আমার দোকান কর্মচারীদের দিয়ে দেবো। তারা যেন কর্ম করে খেতে পারেন। ব্যবসার সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা থাকবে না।”
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে খলিল বলেন, “সরকার আমার সঙ্গে নেই, বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী আমার সঙ্গে নেই, এমন অভিযোগ আমি কারও কাছে করিনি। আমি এমনি এই ব্যবসা থেকে সরে যেতে চাই।”
কম দামে মাংস বিক্রেতা খলিলকে নিয়ে অবশ্য বিতর্কও অনেক। সম্প্রতি খলিলের বিরুদ্ধে নিম্নমানের মাংস দেওয়ার অভিযোগও উঠে। ক্ষুব্ধ ক্রেতার সঙ্গে মারামারির ঘটনাও সামনে এসেছে। পাশাপাশি কেউ কেউ বলছেন, রাষ্ট্রীয় সুবিধা নিতে দাম কমিয়ে আলোচনায় থাকতে চেয়েছেন খলিল।
এদিকে রোববার (২৪ মার্চ) ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, “গরুর মাংস বিক্রেতা খলিল, নয়ন ও উজ্জ্বল এতদিন লোকসান দিয়ে মাংস বিক্রি করেছেন। গরুর দাম বেড়ে যাওয়ায় বর্তমানে মাংসের দামও বেড়ে গেছে। তাদের পক্ষে কম দামে আর মাংস বিক্রি করা সম্ভব নয়। এ পরিস্থিতিতে তারা কি করবেন, এটি সম্পূর্ণ তাদের সিদ্ধান্ত।”