বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করে দুই শর্তে (বিদেশে যেতে পারবেন না ও ঢাকায় থেকে চিকিৎসা) মুক্তির মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ছে।
বুধবার (২০ মার্চ) আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এই তথ্য সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
সরকারের নির্বাহী আদেশে আগের মতো দুই শর্তে খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের বিষয়ে মতামত দিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়। এখন পরবর্তী প্রক্রিয়া শেষ করে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
আইনমন্ত্রী বলেন, “যেহেতু ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারায় উপধারা ১ এ যে আবেদন ছিল সেটা নিষ্পত্তি হয়ে গেছে। এর পরে সেই আবেদনের পরে আর কোনো পদক্ষেপ নেওয়ার নেই; শুধু মেয়াদ বাড়ানো ছাড়া। ঠিক সেই কারণেই আমি মেয়াদ বাড়ানোর সুপারিশ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ফাইল পাঠিয়ে দিচ্ছি।”
খালেদা জিয়ার স্থায়ী মুক্তি ও বিদেশে নিয়ে চিকিৎসার জন্য পরিবারের আবেদনের বিষয়ে জানতে চাইলে গত সোমবার আইনমন্ত্রী বলেছিলেন, এবারের আবেদনেও আগের মতোই স্থায়ী মুক্তি চাওয়া হয়েছে। বিদেশ যাওয়ার জন্য অনুমতি চাওয়া হয়েছে। আইনমন্ত্রী আরও বলেছিলেন, “বহুবার আমি আইনের ব্যাখ্যা দিয়ে বলেছি, ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারা অনুযায়ী যেই শর্তে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে, এর বাইরে আইনিভাবে আমাদের আর কিছু করার নেই।”
দুর্নীতির দুই মামলায় সাজাপ্রাপ্ত খালেদা জিয়া ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাবন্দী হন। দুই বছরের বেশি সময় কারাবন্দী ছিলেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকার নির্বাহী আদেশে সাজা স্থগিত করে শর্ত সাপেক্ষে মুক্তি দিয়েছিল। এরপর ছয় মাস পরপর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁর সাজা স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ বাড়াচ্ছে সরকার।