• ঢাকা
  • বুধবার, ৩০ অক্টোবর, ২০২৪, ১৪ কার্তিক ১৪৩১, ২৬ রবিউস সানি ১৪৪৬

অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে যৌথ অভিযান শুরু


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৪, ২০২৪, ১০:০৪ এএম
অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে যৌথ অভিযান শুরু

থানা থেকে লুট হওয়া অস্ত্র-গোলাবারুদসহ সব ধরনের অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে যৌথ বাহিনীর অভিযান শুরু হয়েছে। যারা পুলিশের লুণ্ঠিত অস্ত্র জমা দেয়নি তাদের বিরুদ্ধে এই অভিযানের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ১২টা থেকে যৌথ বাহিনীর অভিযান শুরু হয়েছে। 

এ যৌথ অভিযানে অংশ নিয়েছে সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিজিবি, আনসার, কোস্ট গার্ড ও র‌্যাব।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সূত্রে জানা গেছে, পুলিশের লুণ্ঠিত অস্ত্র উদ্ধার, স্থগিতকৃত কিন্তু জমা দেওয়া হয়নি- এমন অস্ত্র জব্দ এবং অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারসহ এর কারবারি ও ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বিশেষ করে গণ-আন্দোলনে রূপ নেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অস্ত্র যাদের হাতে দেখা গেছে, অবৈধ অস্ত্র প্রদর্শনী ও নির্বিচারে গুলি বর্ষণ করেছেন এবং অস্ত্র মামলার আসামিদের ধরা হবে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, অস্ত্র দেওয়া সংক্রান্ত জারিকৃত নির্দেশনার মধ্যে বিভিন্ন থানা থেকে লুটপাট করা অস্ত্র যেমন রয়েছে, তেমনি রয়েছে বৈধ অস্ত্রও। গত ১৫ বছরে বেসামরিক জনগণকে দেওয়া আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স স্থগিত করেছে সরকার। মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) ছিল জমা দেওয়ার শেষ দিন।

মঙ্গলবার যৌথ বাহিনীর কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও তা বাস্তবায়নের কৌশল নির্ধারণের জন্য সমন্বয় সভাও করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।

এ প্রসঙ্গে ডিএমপি কমিশনার মাইনুল হাসান বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন স্থানে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ ও প্রাণহানি ঘটে। শেষ তিন দিন (শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতা ছাড়ার আগে-পরে) থানা, ফাঁড়িসহ পুলিশের বেশ কিছু স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। অনেক জায়গায় অস্ত্রসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম ও নথি লুট হয়।

তিনি বলেন, গত ২৫ আগস্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক জারিকৃত এক প্রজ্ঞাপনে গত ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত বেসামরিক জনগণকে দেওয়া আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স স্থগিত করে ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে গোলাবারুদসহ আগ্নেয়াস্ত্র সংশ্লিষ্ট থানায় জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়। নির্দেশনা অনুযায়ী ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নির্ধারিত স্থানে আগ্নেয়াস্ত্র জমা না করলে তা অবৈধ অস্ত্র হিসেবে গণ্য হবে। অন্যথায় তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Link copied!