• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

বাংলাদেশ পুলিশকে প্রশিক্ষণ দিতে আগ্রহী জাপান


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৪, ২০২৪, ০৭:২৮ পিএম
বাংলাদেশ পুলিশকে প্রশিক্ষণ দিতে আগ্রহী জাপান
সচিবালয়ে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশ পুলিশকে জনবান্ধব করতে জাপানের সংশ্লিষ্ট সংস্থা কর্তৃক প্রশিক্ষণ প্রদানে আগ্রহের কথা জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি।

বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) কৃষি ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর সঙ্গে সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে তিনি এ কথা জানান।

বাংলাদেশের সাম্প্রতিক বন্যার কথা উল্লেখ করে জাপান ইওয়ামা কিমিনোরি বলেন, “জাপান সরকারের ‘জাপান প্ল্যাটফর্মের’ আওতায় এনজিওর মাধ্যমে বন্যাদুর্গত এলাকায় বিভিন্ন সেক্টরে সহযোগিতা প্রদান করবে। এ জন্য জাপান দুই মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ করেছে।”

বাংলাদেশ কৃষিতে অধিক উৎপাদন করছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, “সরকারের পাশাপাশি জাপানের বেসরকারি খাতও বাংলাদেশের কৃষি খাতের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী। বন্যার আগাম পূর্বাভাস ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণে জাপান সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।”

বাংলাদেশে বসবাসরত জাপানি নাগরিক, জাপানের অর্থায়নে বাস্তবায়িত প্রকল্প ও ইপিজেডে জাপানের বিভিন্ন শিল্প কারখানার নিরাপত্তা বিষয়ে জাপানের উদ্বেগের কথা জানালে উপদেষ্টা এ বিষয়ে শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়ে আশ্বস্ত করেন।

সাক্ষাৎকালে দুই দেশের কৃষি, পুলিশ, জাপানের নাগরিকদের নিরাপত্তা, রোহিঙ্গা ও দেশের সাম্প্রতিক বন্যাসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়। শুরুতে উপদেষ্টা রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, “দেশে সাম্প্রতিক বন্যায় আমনসহ অন্যান্য ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এ ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে অন্যতম উন্নয়ন সহযোগী জাপানের সহযোগিতা প্রয়োজন।”

মিয়ানমার হতে প্রত্যাগত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বিষয়ে আলাপকালে রাষ্ট্রদূত বলেন, “রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও স্থানীয় এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সবসময় ঝুঁকির মধ্যে থাকে। সেখানে কাজ করা জাপানি নাগরিকদের নিরাপত্তার পাশাপাশি স্থানীয় জনগণের নিরাপত্তাও হুমকির মুখে থাকে।”

এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা বলেন, “মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি অস্বাভাবিক। তাদের নাগরিকরা দেশে নিরাপদ নয়। অপরাধীরা মিয়ানমারে মাদক উৎপাদন করে তা আমাদের দেশে পাচার করে। সরকার রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও আশপাশের নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করছে। পাশাপাশি মাদকপাচার রোধেও কঠোর অবস্থান নিয়েছে। মিয়ানমারকে তাদের নাগরিকদের ফেরত নিতে হবে, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে তাদের দেশে ফেরত যেতে হবে।”

Link copied!