• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আগামীকালের মধ্যে নিষিদ্ধ হচ্ছে জামায়াত-শিবির : আইনমন্ত্রী


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: জুলাই ৩০, ২০২৪, ০২:১০ পিএম
আগামীকালের মধ্যে নিষিদ্ধ হচ্ছে জামায়াত-শিবির : আইনমন্ত্রী

নির্বাহী আদেশে আগামীকাল বুধবারের (৩১ জুলাই) মধ্যেই জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেন, “আইনগত দিক খতিয়ে দেখতে বিকেলে বৈঠক হবে।”

মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এ তথ্য জানান। 

মন্ত্রী বলেন, “আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের যে বক্তব্য দিয়েছেন, সেটি অত্যন্ত স্পষ্ট। প্রধানমন্ত্রীও তাকে (আইনমন্ত্রী) নির্দেশ দিয়েছেন আগামীকালের মধ্যে একটি ব্যবস্থা নেওয়ার। তিনি কিছুক্ষণ পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের সঙ্গে বসবেন। সেখানে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে কোন আইনি প্রক্রিয়ায় হবে। যখন সিদ্ধান্ত হবে, তখন বলবেন।” তখন সাংবাদিকেরা জানতে চান, ‘তাহলে কি আগামীকালের মধ্যে এ সিদ্ধান্ত (জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধ) হবে?’ জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, “ইনশা আল্লাহ।”

এর আগে সোমবার (২৯ জুলাই) আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের সভায় জামায়াত–শিবিরকে নিষিদ্ধ করার বিষয়ে একমত হয় ১৪-দলীয় জোট। আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয় ওই সভা। সভার পর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের কাছে সভার সিদ্ধান্ত সাংবাদিকদের জানান।

এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, “যারা কোটা আন্দোলন করেছিলেন, তারা কিন্তু বলেছেন, এই সহিংসতার সঙ্গে তাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। তাদের (সরকার) কাছে তথ্য–উপাত্ত আছে জামায়াত, বিএনপি, ইসলামী ছাত্রশিবির ও ছাত্রদলের যারা জঙ্গি, তারাই এটা (সহিংসতা) করেছে। দলটিকে (জামায়াত) যদি নিষিদ্ধ করা হয়, তাহলে দেশের আইনশৃঙ্খলা ও রাজনীতিরও অনেক উন্নতি হবে।”

সোমবার ১৪-দলীয় জোটের বৈঠকে উপস্থিত একাধিক সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈঠকের শুরুতে বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে সারা দেশে যে নাশকতা, আগুন দেওয়ার ঘটনা ও পুলিশের ওপর আক্রমণ হয়েছে, এর পেছনে জামায়াত-শিবির রয়েছে। এ বিষয়ে গোয়েন্দা প্রতিবেদন আছে। এক মাস ধরে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে জামায়াত-শিবিরের প্রশিক্ষিত লোকজনকে ঢাকায় জড়ো করা হয়। তারাই এসব অপকর্ম করেছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুন্নত রাখতে হলে তাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এরপর শরিক দলের নেতারা একে একে বক্তৃতা করেন।

উচ্চ আদালতের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৩ সালে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করে নির্বাচন কমিশন। দলটির ছাত্রসংগঠনের নাম ইসলামী ছাত্রশিবির। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের দায়ে জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের ফাঁসির রায়ও কার্যকর করা হয়েছে।

জামায়াতের পক্ষ থেকে নিবন্ধন বাতিল করে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হয়েছিল। তবে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ২০২৩ সালের ১৯ নভেম্বর জামায়াতের পক্ষের আপিল খারিজ করে দিয়েছেন। ফলে দলটির নিবন্ধন বাতিলের সিদ্ধান্ত বহাল রয়েছে। যুদ্ধাপরাধের দায়ে দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর বিচার করার জন্য একটি আইনের খসড়া কয়েক বছর আগে তৈরি করেছে আইন মন্ত্রণালয়। পরে সে বিষয়ে অগ্রগতি হয়নি।

Link copied!