• ঢাকা
  • রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১, ৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৫

‘ঘোষণা ছিল পুলিশ মারলে ১০ হাজার, ছাত্রলীগ মারলে ৫ হাজার’


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: জুলাই ২৫, ২০২৪, ০৬:৫৯ পিএম
‘ঘোষণা ছিল পুলিশ মারলে ১০ হাজার, ছাত্রলীগ মারলে ৫ হাজার’
সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন ডিবি প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। ছবি : সংগৃহীত

বগুড়ার যুবদল নেতা নুরে আলম সিদ্দিকি পিটন লন্ডন থেকে নির্দেশনা পান, পুলিশ মারলে ১০ হাজার এবং ছাত্রলীগ মারলে ৫ হাজার টাকা দেওয়া হবে। এ ঘোষণার পর মাঠে দায়িত্ব পালন করতে দেওয়া হয় নুরে আলম সিদ্দিকির দুলাভাই মো. আব্দুল আজিজ ওরফে সুলতানকে। সুলতানকে গ্রেপ্তারের পর এমন তথ্য পেয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম (উত্তর) বিভাগ।

বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) ডিবি কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) ও ডিবি প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, “সরকার পতনের আন্দোলন বাস্তবায়নে মো. আব্দুল আজিজ সুলতান টোকাই ও ছিন্নমূল শ্রেণির লোকদের দিয়ে জামায়াত-শিবির ও বিএনপির ক্যাডারদের নির্দেশনা দেন। নির্দেশনায় একজন ছাত্রলীগ নেতাকর্মী মারলে ৫ হাজার টাকা এবং একজন পুলিশ সদস্য মারলে ১০ হাজার টাকা দেওয়া হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।”

ডিবি প্রধান বলেন, “এরই ধারাবাহিকতায় গ্রেপ্তার আসামির প্রত্যক্ষ নির্দেশনায় বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীরা টাকার বিনিময়ে টোকাই ও ছিন্নমূলদের দিয়ে তাণ্ডব চালান। তারা রাজধানীর উত্তরা ও আব্দুল্লাহপুরসহ দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন এবং নারকীয় হত্যাযঙ্গ চালান।”

মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, “এবার যারা আমাদের তিন পুলিশ সদস্যকে হত্যা করেছে তাদের নাম-পরিচয় পেয়েছি। তাদের যত দ্রুত সম্ভব ধরে এনে আইনের আওতায় দাঁড় করাবই। পুলিশ ও ছাত্রলীগ মারলে যারা টাকা দেওয়ার কথা বলেছিল, তাদের মধ্যে কয়েকজনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে। যারা ঢাকা শহরকে অকার্যকর করার দায়িত্ব নিয়েছিলেন তাদের মধ্যে সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, সাইফুল ইসলাম নিরব, এস এম জাহাঙ্গীর, রফিকুল ইসলাম মজনু ও আমিনুল ইসলামসহ অসংখ্য জামায়াত ও বিএনপির নেতাকর্মী আমাদের কাছে গ্রেপ্তার রয়েছেন। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছি। তাদের মোবাইল থেকে অনেক মেসেজ পেয়েছি। যারা দেশের বাইরে থেকে তাদের নির্দেশনা দিয়েছে যে, ‘নতুন কমিটির দায়িত্ব তোমাদের দেওয়া হয়েছে, যদি নির্দেশনা না মানো তাহলে তোমাদের কমিটি থেকে বাদ দেওয়া হবে।”

মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ আরও বলেন, “শুধু তাই নয়, ২৮ অক্টোবরের ঘটনায় ও পরবর্তী সময়ে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে, রেল লাইনে আগুন দিয়েছে, জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছে, পুলিশ হাসপাতালে হামলা ও পুলিশকে হত্যা করেছে, প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা চালিয়েছে সেসব লোকগুলোকে বর্তমানে বিএনপির বিভিন্ন কমিটিতে স্থান দেওয়া হয়েছে।”

Link copied!