চলতি বছরের জুলাই-আগস্টে নির্বাচন দেওয়া সম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, “যেহেতু নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যে গঠিত হয়েছে, সেহেতু জাতীয় সংসদ নির্বাচন বিলম্বিত হওয়ার কারণ নেই। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে স্থানীয় সরকার নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রশ্ন উঠে না। চলতি বছরের জুলাই মাসের মধ্যেই নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব।”
মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা জানান। সোমবার (১৩ জানুয়ারি) রাতে অনুষ্ঠিত বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে আলোচনার বিষয় তুলে ধরতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে দ্রব্যমূল্যের ক্রমাগত ঊর্দ্ধগতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, “একদিকে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির মূল্য বৃদ্ধি, ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি, অন্যদিকে ভ্যাট ও অন্যান্য করের হার বৃদ্ধি অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। এ বিষয়ে সভায় একটি বিস্তারিত তথ্য সম্বলিত সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।”
বিএনপি মহাসচিব বলেন, “সভায় নির্বাচন প্রসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। সভা মনে করে জাতীয় সংসদ নির্বাচন বিলম্বিত করা হলে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকট ক্রমশ বৃদ্ধি পাবে। এ বিষয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, নির্বাচন কমিশন ও সব রাজনৈতিক দলগুলোকে ঐক্যমতে আসার আহ্বান করছি।”
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগী বলেন, “সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ বিষয়ে সভায় বিস্তারিত আলোচনা হয়। এই আইন সম্পর্কে আরও বিস্তারিত তথ্য সম্বলিত একটি সংবাদ সম্মেলনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এ বিষয়ে জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খানকে প্রধান করে প্রফেসর এ কে এম ওয়াহিদুজ্জামান ও ব্যারিষ্টার কায়সার কামাল সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি অবিলম্বে এ বিষয়ে প্রতিবেদন প্রস্তুত করবে।”
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগী আরও বলেন, “জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে আহ্বায়ক ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইসমাইল জবিউল্লাহর সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়। এই কমিটি অবিলম্বে এ সংক্রান্ত বিষয়ে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রস্তুত করবে।”