আত্মসমালোচনা ও আত্মশুদ্ধি ছাড়া প্রকৃত মানুষ হওয়া সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান। তিনি বলেছেন, “শিশুরা আমাদের কাছ থেকেই শিখবে। আমরা শিশুদের জন্য কী করছি, এটা আমাদের ভেবে দেখতে হবে।”
বুধবার (১৫ মে) সকালে ঢাকার আগারগাঁওয়ে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের অডিটোরিয়ামে জাতীয় শিশু-কিশোর ইসলামী সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা-২০২৩ ও ২০২৪-এর পুরস্কার ও সনদপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
ফরিদুল হক খান বলেন, “প্রতিযোগিতা একটি শিখন প্রক্রিয়া। প্রতিযোগিতা হার-জিতের বিষয় নয়, বরং এটি শেখার এবং সমৃদ্ধ হওয়ার বিষয়। প্রতিযোগিতার মাধ্যমে প্রতিযোগীদের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন, ব্যক্তিত্বের বিকাশ এবং আত্মউন্নতির সুযোগ ঘটে থাকে। এটি একজন মানুষকে দক্ষ করে তোলে।”
ধর্মমন্ত্রী বলেন, “আজকের এই শিশু-কিশোরই আগামীদিনে জাতির কর্ণধার। তারাই দেশকে নেতৃত্ব দেবে, জাতিকে এগিয়ে নেবে। যারা আগামী দিনে দেশকে নেতৃত্ব দেবে তাদের অবশ্যই নেতৃত্ব দেওয়ার উপযুক্ত করে গড়ে তুলতে হবে। আগামী দিনের যে পৃথিবী, সেই পৃথিবীর সঙ্গে সমান তালে তারাও যেন বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে পারে, সেভাবেই তাদের দক্ষ ও যোগ্য হিসেবে তৈরি করতে হবে। শিশুদের চিন্তা-চেতনা ও মননে সততা, নৈতিকতা, দেশপ্রেম, মানবিকতা, ইনসাফ বা ন্যায়পরায়ণতা, সময়ানুবর্তিতা, সৌজন্যবোধ প্রভৃতি সদগুণের উন্মেষ ঘটাতে হবে।
প্রতিযোগীদের উদ্দেশে ধর্মমন্ত্রী বলেন, “প্রতিযোগিতায় নিজেকে সর্বোত্তমভাবে উপস্থাপনের কৌশল রপ্ত করতে হবে। যে বিষয়ে প্রতিযোগিতায় তুমি অংশ নিতে যাচ্ছ, সেই বিষয়টি পুরোপুরিভাবে আয়ত্তে আনতে হবে। সময় ব্যবস্থাপনায় দক্ষ হতে হবে। নিজের মধ্যে আত্মবিশ্বাস থাকতে হবে।”
এসময় শিশুদের চিন্তা-চেতনা ও মননে সততা, নৈতিকতা, দেশপ্রেম, মানবিকতা, ইনসাফ বা ন্যায়পরায়ণতা, সময়ানুবর্তিতা, সৌজন্যবোধ প্রভৃতি সদগুণের উন্মেষ ঘটানোর ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন ধর্মমন্ত্রী।