প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস। এসময় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তিনি আলোচনা করেছেন।
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) মার্কিন জ্বালানি কোম্পানি এক্সালারেট এনার্জির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) স্টিভেন কোবোসসহ প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনায় এ বৈঠক করেন তিনি। বাংলাদেশ থেকে ফিরে গিয়ে এক্সালারেট এনার্জির কৌশলগত উপদেষ্টার দায়িত্ব নিয়েছেন পিটার হাস।
প্রধান উপদেষ্টার অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে দেওয়া পোস্টে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
স্টিফেন কোবোস যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ ব্যবসায়ী পরিষদেরও সভাপতি। প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের দায়িত্ব নেওয়া বিষয়ে তিনি বলেন, “এতে বাংলাদেশের ব্যবসার আস্থা বাড়বে।”
ড. ইউনূসকে কোবোস বলেন, “আপনি দায়িত্ব নেওয়ার পর অনেক মার্কিন কোম্পানি বাংলাদেশের ব্যাপারে আগ্রহী হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের কিছু শীর্ষ কোম্পানি যার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ ব্যবসায়ী পরিষদের সদস্যও রয়েছে, তারা দক্ষিণ এশিয়ার ব্যবসার বিষয়ে উদগ্রীব।”
এক্সালারেট এনার্জির সিইও জানান, তার কোম্পানির বাংলাদেশের জ্বালানি খাতে আরও বেশি বিনিয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে। এই কোম্পানি বাংলাদেশে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) সরবরাহের পরিমাণ বাড়াতে ও সহজ করতে চায়।
এক্সিলারেটের বর্তমানে বাংলাদেশে দুটি সামুদ্রিক ভাসমান সংরক্ষণাগার ও এলএনজি রূপান্তরকরণ ইউনিটে বিনিয়োগী রয়েছে, যা ১ দশমিক ১ বিলিয়ন ঘনফুট এলএনজি সরবরাহ করে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের দৈনিক গ্যাস সরবরাহের প্রায় ৩৪ শতাংশ পূরণ করা হয়।
ড. ইউনূস বাংলাদেশে আরও মার্কিন বিনিয়োগের জন্য স্বাগত জানান। তিনি জানান, তার সরকার সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগের আকর্ষণ ও ব্যবসার পরিবেশ সৃষ্টিতে কাজ করছে। তিনি বলেন, “আপনারা (কোবোস ও তার প্রতিনিধিদল) উপযুক্ত সময়ে এখানে (বাংলাদেশে) এসেছেন।”
বৈঠকে এক্সালারেট এনার্জির ভাইন প্রেসিডেন্ট ডেরেক ওয়ং ও র্যামন ওয়াংডি, কোম্পানিটির কান্ট্রি ম্যানেজার হাবিব ভূঁইয়া, প্রধান উপদেষ্টার এসডিজিবিষয়ক মুখ্যসচিব লামিয়া মোরশেদ, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী, জ্বালানি সচিব সাইফুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।