কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হামলা হতাহতের ঘটনায় জনরোষের মুখে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। এরপর মন্ত্রী-এমপি, নেতাকর্মীসহ প্রশাসনের অনেক কর্মকর্তা আত্মগোপনে যেতে শুরু করেন। এদের মধ্যে বেশ কয়েকজন গ্রেপ্তার হয়ে রিমান্ডে আছেন। তাদের মধ্যে একজন ১৪ দলের অন্যতম শরিক জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি সাবেক মন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।
গত সোমবার (২৬ আগস্ট) বিকেলে উত্তরার একটি বাসা থেকে ইনুকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ।
মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) বিকেলে তাকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। আদালত ইনুর ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় শেখ হাসিনাকে শিক্ষার্থীদের সকল দাবি মেনে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন হাসানুল হক ইনু। কিন্তু হাসিনা কোনো পরামর্শই কানে নেননি-রিমান্ডে এমনই তথ্য দিয়েছেন ইনু।
সংবাদমাধ্যম যুগান্তরে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।
ডিবি পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে সাবেক মন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেন, “শেখ হাসিনা সরকারের প্রথম ৫ বছর আমি মন্ত্রী ছিলাম। পরের ১০-১১ বছরে আমরা সরকারে ছিলাম না। তবে ১৪ দলে জোটের শরিক ছিলাম। জোটের শরিক হিসেবে আমরা শেখ হাসিনাকে অনেক পরামর্শ দিয়েছি। ছাত্রদের দাবি মেনে নিতে বলেছি। যেসব পুলিশ সদস্য ছাত্রদের ওপর গুলি চালিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলেছি। টাকা পাচারকারীদের ধরতে বলেছিলাম। উনি চীন সফরে যাওয়ার আগেও বেশকিছু পরামর্শ দিয়েছিলাম। আমাদের কোনো পরামর্শই কানে নেননি।”
ইনু ডিবিকে আরও বলেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে উদ্দেশ্য করে শেখ হাসিনা বলেছিলেন, ‘সে কোটায় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছে। অথচ কোটার বিরোধিতা করে। তাহলে সে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রত্ব বাতিল করে রাস্তায় নামুক।’ এভাবে তার কথা বলা ঠিক হয়নি।”
ইনু আরও বলেন, “ছাত্র আন্দোলন দমনের বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন, ‘তাদের দমাতে ছাত্রলীগই যথেষ্ট।’ এই মন্তব্যটি ছাত্র-জনতার ওপর বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছিল।”
