১৯৭১ সালের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়া যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।
শনিবার (২৫ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবে সম্প্রীতি বাংলাদেশের উদ্যোগে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, “১৯৭১ সালে স্বাধীনতাযুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র ও চীন এই দুটি রাষ্ট্র পাকিস্তানের পক্ষে ছিল। সে জন্যই আমরা যখনই আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে গণহত্যার স্বীকৃতির জন্য যাই, তখন এরা বাধা হয়ে দাঁড়ায়। তারপরও আমরা আশাবাদী নিশ্চয়ই আমরা আমাদের দাবি আদায় করতে পারব।”
কে এম খালিদ বলেন, “আমরা ১৯৭১-এর গণহত্যার ওপর একটি গবেষণা করছি। অধ্যাপক মুনতাসীর মামুনের নেতৃত্বে এ গবেষণা চলছে। এরই মধ্যে সারা দেশের সাড়ে ৪ হাজার বধ্যভূমি চিহ্নিত করেছি। এটি এক বছর আগের কথা। এখনো গবেষণা চলছে। কাজেই এসব তথ্য থেকে আমরা বলতে পারি সংখ্যাটা ৩০ লাখের বেশি।”
আলোচনায় সভাপতির বক্তৃতায় পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “২৫ মার্চ ও পরবর্তী ৮ মাস ২ সপ্তাহ ৩ দিনে যে নৃশংসতা, যে বর্বরতা, পৈশাচিকতা, হত্যা, লুণ্ঠন, ধর্ষণ, বিতারণ, জোরপূর্বক ধর্মান্তরিতকরণসহ আন্তজার্তিক কনভেনশনে যা যা উল্লেখ আছে গণহত্যার তার কোনো কিছুই বাকি রাখা হয় নাই। সবই পাকিস্তানি সেনাবাহিনী করেছে। আমরা সেই গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি চাই। স্বাধীনতার ৫৩ বছর হয়েছে আরও যদি ৫৩ বছর অপেক্ষা করতে হয়, করব। তবু আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায় করবই করব।”
সম্প্রীতি বাংলাদেশের সদস্যসচিব মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীলের সঞ্চালনায় আলোচনায় আরও বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক আ ব ম ফারুক, অধ্যাপক চন্দ্রনাথ পোদ্দার, লায়ন চিত্ত রঞ্জন দাশ ও রেভারেন্ট অধিকারী প্রমুখ।