শর্ত পূরণ করা সত্ত্বেও এবি পার্টিকে নিবন্ধন না দেওয়ায় নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে করা এবি পার্টির রিট মামলার চূড়ান্ত রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। রায়ে এবি পার্টিকে নিবন্ধন দিতে নির্বাচন কমিশনের প্রতি নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (১৯ আগস্ট) হাইকোর্টের বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের যৌথ বেঞ্চ এই রায় দেন।
রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী তাজুল ইসলাম (এবি পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক)। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী আবদুল্লাহ আল মামুন রানা ও যোবায়ের আহমেদ ভূঁইয়া।
রায়ে সকল শর্ত পূরণ এবং নির্বাচন কমিশনের বাছাইয়ের প্রতিটি স্তরে প্রথম অবস্থানে থাকা সত্ত্বেও এবি পার্টিকে নিবন্ধন না দেওয়ার বিষয়টিকে দুঃখজনক বলে উল্লেখ করা হয়।
এর আগে ২০২২ সালের ১৭ অক্টোবর এবি পার্টি নিবন্ধনের জন্য নির্বাচন কমিশনে আবেদন করে। আবেদনকারী ৯৩টি রাজনৈতিক দল হতে প্রথম পর্যায়ে ১২টি এবং অধিকতর যাচাই বাছাইয়ের পর ৪টি রাজনৈতিক দলকে ইসি চুড়ান্তভাবে মনোনীত করে। সেই ৪টি দলের ১০ শতাংশ জেলা-উপজেলায় আবার পূণঃতদন্ত করা হয়। প্রতিটি স্তরের যাচাই বাছাইয়ে আইন ও নিয়মানুযায়ী এবি পার্টি যোগ্য বিবেচনায় শীর্ষস্থানে থাকার পরও নিবন্ধন দেওয়া হয় না।
২০২৩ সালের ৩১ আগস্ট এবি পার্টির পক্ষ থেকে রিট আবেদনটি করা হয়। সকল শর্ত পূরণ করা সত্ত্বেও এবি পার্টিকে রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন দিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে সেদিনই রুল জারি করেছেন সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ। একইসঙ্গে এবি পার্টিকে রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন না দেওয়া কেন অবৈধ হবে না, রুলে সেটিও জানতে চাওয়া হয়।
দীর্ঘ এক বছর নানা আইনি প্রক্রিয়া ও যুক্তিতর্ক শেষে গত ১৫ আগস্ট মামলার চূড়ান্ত শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানি শেষে সোমবার মামলাটির চূড়ান্ত রায় দেওয়া হয়।