শিল্প ও গৃহনির্মাণ ঋণের কিস্তি হালকা করার পরামর্শ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ঋণের কিস্তির টাকা না বাড়িয়ে কিস্তির সংখ্যা বাড়িয়ে বাড়তি সুদ আদায়ের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৫ জুন) বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করে বাণিজ্যিক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও নির্বাহীদের পাঠিয়েছে।
নির্দেশনায় বলা হয়, বিদ্যমান বৈশ্বিক বিরূপ অর্থনৈতিক পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে ব্যাংকের ঋণের সুদহার বেড়েছে। ফলে শিল্পপ্রতিষ্ঠানসমূহ এবং ব্যক্তিক পর্যায়ে গৃহনির্মাণ ঋণগ্রহীতাদের ঋণের কিস্তির টাকার অংক বেড়েছে, যার কারণে কিস্তি প্রদানে গ্রাহকরা সমস্যায় পড়ছেন। শিল্পায়ন ও রপ্তানির গতিধারা অক্ষুণ্ন রাখা এবং সীমিত আয়ের ঋণগ্রহীতাদের ঋণ পরিশোধের সক্ষমতা বজায় রেখে বিদ্যমান মেয়াদি শিল্প ঋণ ও গৃহনির্মাণ ঋণের কিস্তির পরিমাণ না বাড়িয়ে মেয়াদ পুনর্বিন্যাস করতে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে বলা হয়েছে।
নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ১ জুলাইয়ের আগে ব্যাংকগুলো নির্ধারিত কিস্তির পরিমাণ অপরিবর্তিত রেখে ঋণের কিস্তি আদায় করবে। কিস্তি আদায়ের জন্য প্রয়োজনীয় মেয়াদ বৃদ্ধি করা হলেও এসব ঋণ পুনর্গঠন হিসেবে গণ্য হবে না। বেতনভোগী চাকরিজীবীদের বেতনের বিপরীতে গৃহীত ঋণের ক্ষেত্রে ওই গ্রাহকের চাকরি থেকে অবসর গ্রহণের সময়সীমার মধ্যে ব্যাংক তাদের নিজস্ব বিবেচনায় ঋণের অর্থ পরিশোধের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে।
২০২৪ সালের ৩১ মার্চ প্রান্তিকে খেলাপি হয়নি এমন গ্রাহক এ সুবিধা পাবেন। কোনো রূপান্তরিত মেয়াদি ঋণের ক্ষেত্রে এ সুবিধা প্রযোজ্য হবে না এবং বাংলাদেশ ব্যাংক বা সরকারের কোনো প্রণোদনা প্যাকেজ বা বিশেষ তহবিলের আওতায় দেওয়া ঋণ এ সুবিধা পাবে না।