আইন অনুযায়ী সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের হিসাব সংগ্রহের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। তিন মাস পর অগ্রগতি রিপোর্ট দিতেও বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২ জুলাই) এ নিয়ে এক রিটের শুনানিতে বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী এবাদত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
সরকারি কর্মচারী বিধিমালা অনুসারে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব বিবরণী নিয়মিত সংগ্রহ করা এবং পাশাপাশি ডিজিটাল মাধ্যমে তা প্রকাশ কেন করা হবে না জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
একই সঙ্গে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব সংগ্রহের আইন বাস্তবায়নের প্রতিবেদন আগামী ৩ মাস পর জমা দিতে বলেছেন আদালত।
এ আদেশের আগে হাইকোর্ট বলেন, দুর্নীতি উন্নয়ন ও সুশাসনের অন্তরায়। তাই যেকোনো মূল্যে এটি থামাতে হবে। শুধু সরকার নয়, জনগণকেও দুর্নীতির বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হবে এবং আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
হাইকোর্ট আরও বলেন, “প্রতি বছর সরকারি চাকরিজীবীদের স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের হিসাব প্রকাশের নির্দেশনা চেয়ে করা রিটের শুনানিতে হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ আরও বলেন, দুর্নীতি বন্ধে ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তুলতে। বিভিন্ন গণমাধ্যমে যে হারে দুর্নীতির খবর দেখা যাচ্ছে, তা বিষ্ময়কর হয়ে পড়ছি আমরা। দুর্নীতি দেশের উন্নয়নের অন্তরায়। যেকোনো উপায়ে এটি থামাতেই হবে।”
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট সুবীর নন্দী দাস, রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক এবং দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ফজলুল হক।
এর আগে সোমবার দুর্নীতিরোধে সরকারি কর্মকর্তাদের সম্পদের হিসাব আইন অনুযায়ী দাখিল ও ওয়েবসাইটে প্রকাশের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সুবীর নন্দী দাস হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই রিট দায়ের করেন।
রিটে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, জনপ্রশাসন সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, দুদকের চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরসহ ১০ জনকে বিবাদী করা হয়।
রিটকারী আইনজীবী সুবীর নন্দী দাস বলেন, “সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব আইনে উল্লেখিত যথাযথ নিয়মে কর্তৃপক্ষের কাছে দাখিলের পাশাপাশি ওয়েবসাইটে প্রকাশের নির্দেশনা চেয়ে রিটটি করেছি।”