ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের পরিবহন বিভাগের মহাব্যবস্থাপক মো. হায়দার আলী (যুগ্ম সচিব) বলেছেন, “আমি বিশ্বাস করি বায়ুদূষণ রোধে প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগ আরও জোরাল করা উচিত। বায়ুদূষণ রোধের জন্য প্রাপ্ত বরাদ্দসমূহ সঠিকভাবে তদারকি করতে হবে এবং তার যথাযথ ব্যবহার ও নিশ্চিত করতে হবে।”
বুধবার (২০ মার্চ) প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের সেমিনার কক্ষে শিশু ও যুব ফোরাম আয়োজিত ‘শ্বাসপ্রশ্বাসের জন্য প্রয়োজন বিশুদ্ধ বাতাস’ শীর্ষক অংশীজন শুনানিতে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানের আয়োজনে সহযোগিতা করেছে বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র (ক্যাপস) এবং ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ।
মো. হায়দার আলী বলেন, “বায়ুদূষণ কেউ চাইলে সহজে নিরসন করতে পারবে না। বায়ুপ্রবাহ কোনো বাধা মানে না, এটি প্রাকৃতিক নিয়মে চলে। জিওপলিটিক্যাল দূষণগুলো নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে ইতোমধ্যে আলোচনা শুরু হয়েছে। পরিবহনের বায়ুদূষণ কমানোতে জীবাশ্ম জ্বালানিভিত্তিক পরিবহন পরিহার করে পরিবেশবান্ধব ইলেকট্রিক ভেহিকল ব্যবহার করতে হবে। বর্তমান সরকার ইলেকট্রিক ভেহিকল নিয়ে কাজ শুরু করেছে, এই খাতে ভ্যাট ট্যাক্স কমিয়ে আনার প্রক্রিয়া চলছে।”
সভায় সভাপতির বক্তব্যে বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্রের (ক্যাপস) প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদার বলেন, “নির্মল বায়ু মানুষের অধিকার। কিন্তু ঢাকা শহরের অধিবাসীরা এ অধিকার থেকে বঞ্চিত। জৈব জ্বালানি পোড়ানোর ফলে বায়ুতে বিষাক্ত গ্যাস নির্গত হচ্ছে, যা বায়ুর গুণগত মান নষ্ট করছে। তাই জীবাশ্ম জ্বালানি বন্ধ এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানি নিশ্চিত করা গেলে সবার জন্য নির্মল বায়ু এবং জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।”
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. লেলিন চৌধুরী বলেন, “আমাদের ব্যক্তিগত পর্যায়েও বায়ুদূষণ রোধে কাজ করতে হবে। বসতবাড়ি ও কর্মস্থলের বর্জ্য সঠিক স্থানে এবং সঠিকভাবে নিষ্কাশন করতে হবে। ব্যক্তিগত পর্যায়ের উদ্যোগসমূহ সরকারি কাজকে ত্বরান্বিত করতে ব্যাপকভাবে সহায়তা করবে। আমরা সবাই কাজ করব, কিন্তু নেতৃত্ব দেবে সরকার।”