মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামিকে আদালত থেকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় আহত পুলিশ সদস্য নূরে আজাদকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। রোববার (২৭ নভেম্বর) ডিএমপির প্রসিকিউশন বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার জসিম উদ্দিন এ বিষয় নিশ্চিত করেন।
জসিম উদ্দিন বলেন, আসামি ছিনতাইয়ের ঘটনায় নূরে আজাদসহ সাত পুলিশ সদস্যকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) নূরে আজাদসহ তার সঙ্গে চার পুলিশ সদস্য ডিউটিতে ছিলেন। কিন্তু তিনি একাই চার জঙ্গিকে নিয়ে যাচ্ছিলেন। ডিউটিতে চারজন থাকা শর্তেও তিনি একাই কেন চার জঙ্গিকে নিয়ে যাচ্ছিলেন, তা তদন্তের বিষয়। কমিশনারের নির্দেশে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে প্রকৃত ঘটনা উদ্ঘাটন হবে।
সাময়িক বরখাস্ত হওয়া অপর পুলিশ সদস্যরা হলেন সিএমএম আদালতের হাজতখানার কোর্ট ইন্সপেক্টর মতিউর রহমান, হাজতখানার ইনচার্জ (এসআই) নাহিদুর রহমান ভূঁইয়া, আসামিদের আদালতে নেয়ার দায়িত্বরত পুলিশের এটিএসআই মহিউদ্দিন, কনস্টেবল শরিফ হাসান, জয়নাল ও আব্দুস সাত্তার।
এর আগে, ২৪ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) দুপুরে ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রাঙ্গণ থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামিকে ছিনিয়ে নিয়ে যায় জঙ্গিরা। এ সময় আসামি আরাফাত ও সবুরকে ছিনিয়ে নিতে চেষ্টা করে জঙ্গিরা। পরে ঘটনাস্থল থেকে আরাফাত ও সবুরকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় কোর্ট পরিদর্শক জুলহাস বাদী হয়ে ২০ জনের নামে একটি মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয় আরও ৭-৮ জনকে।
জঙ্গি ছিনতাইয়ের এ ঘটনা তদন্তে তিনটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ একজনকে গ্রেপ্তার করেছে, ওই ব্যক্তিও সন্ত্রাসবিরোধী আইনের এক মামলার আসামি। ওই মামলায় মইনুল ও সোহেলও আসামি। পলাতক দুজনের কোনো হদিস এখনও বের করতে পারেনি পুলিশ।