• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

মেট্রোরেলকে জরুরি সেবা হিসেবে ঘোষণার উদ্যোগ


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: আগস্ট ২৫, ২০২৪, ০১:৩১ পিএম
মেট্রোরেলকে জরুরি সেবা হিসেবে ঘোষণার উদ্যোগ

ভাঙচুর ঠেকাতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার মেট্রোরেলকে জরুরি সেবা (কেপিআই) হিসেবে ঘোষণার উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজল কবির খান।

রোববার (২৫ আগস্ট) সকালে মেট্রোরেলের সচিবালয় স্টেশনে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান তিনি।

মুহাম্মদ ফাওজল কবির খান বলেন, “এটায় যেন ভাঙচুর না হয়, সে জন্য কেপিআই হিসেবে আপগ্রেড করার চেষ্টা করছি। যাতে এটার নিরাপত্তা বাড়ে। মেট্রোরেলকে জরুরি সেবা হিসেবে ঘোষণা করার উদ্যোগ আমরা নিয়েছি। যাতে করে কেউ এভাবে সার্ভিসটাকে ব্যাহত করতে না পারে।”

মেট্রোরেলে যারা ভাঙচুর বা ক্ষতিগ্রস্ত করার চেষ্টা করেছিল তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “আপনারা সবাই জানেন, যারা দেশকে পরিবর্তনের জন্য আন্দোলন করেছে। তাদের পক্ষে এ ধরনের কাজ তো করা সম্ভব নয়। এটা দুষ্কৃতকারীদের কাজ। আপনাদের কাছে তাদের ভিডিও আছে, ফুটেজ আছে, আমরা এর জন্য যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেব।”

সড়ক উপদেষ্টা বলেন, “আপনারা জানেন যে এটা একটা জনপ্রত্যাশার সরকার। আমি উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পরেই প্রধান উপদেষ্টা বলেছিলেন, তোমার প্রথম কাজ হবে মেট্রোরেল চালু করা। সেটাই আমরা করেছি। এখানে বোর্ড পুনর্গঠন করতে হয়েছে। বোর্ডের সভা ছিল, কিছু দাবি দাওয়া ছিল, এগুলো আমরা দেখেছি। এর আগে ১৭ তারিখ এটা চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু মেট্রোরেলের কিছু কর্মকর্তা কর্মচারীর জন্য সেটা চালু করা সম্ভব হয়নি। আপনারা জানেন এটা বড় অন্যায় কাজ করেছে। তিন লাখ যাত্রীকে জিম্মি করে কোনো দাবি আদায়ের চেষ্টা শুভ লক্ষণ নয়।”

দেশে দাবি দাওয়ার মৌসুম চলছে মন্তব্য করে উপদেষ্টা বলেন, “আর এখন সারা দেশে একটা দাবি দাওয়ার মৌসুম চলছে। সবাই চায় বৈষম্য দূর হবে, সবাই চায় বঞ্চনা থেকে তারা মুক্তি পাবেন। ১৬ বছরের বঞ্চনা, এ সরকারের বয়স ১৬ দিন হয়েছে, অনন্ত ১৬ মাস সময় দিন। আমরা আস্তে আস্তে এগুলো সবই বিবেচনা করব।”

সব দাবি পূরণ করলের দেশ মূল্যস্ফীতিতে পড়তে পারে বলেও শঙ্কা প্রকাশ করে এ উপদেষ্টা বলেন, কিন্তু একটা জিনিস মনে রাখতে হবে যে, এসব দাবি দাওয়ার সঙ্গে একটা আর্থিক সংশ্লিষ্টতা আছে। সরকারের যদি রাজস্ব না বাড়ে কিংবা অন্যান্য আয় যদি না বাড়ে তা হলে এটা কো থেকে দেবে? এখন যদি টাকা ছেপে আমরা দিতে পারি, তাহলে তো মূল্যস্ফীতি বেড়ে যাবে। এতে সাধারণ মানুষের অনেক কষ্ট হবে। সুতরাং এটা অনভিপ্রেত ঘটনা ছিল এবং আমরা চাই ভবিষ্যতে এটা ঘটবে না।

মেট্রোরেলের অন্য লাইনগুলো কবে চালু হবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “আমরা তিন চার দিন আগে, মেট্রোরেলের সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে সঙ্গে আলাপ করেছি। অন্যান্য লাইনগুলো চালুর ব্যাপারে আমরা কাজ করছি। আজ বিকেলে জাপানের রাষ্ট্রদূত আমার সঙ্গে দেখা করতে আসবেন। কাজীপাড়া এবং মিরপুর ১০ স্টেশন কীভাবে চালু করা যায় সে ব্যাপারে আলাপ হবে। মেট্রোরেলের এমডিকে বলেছি ক্ষয়ক্ষতি কী হয়েছে এটা নির্ধারণ করে টাইম লাইন দিতে।”

দীর্ঘ ৩৭ দিন পর মেট্রোরেল রোববার সকালে চালু হওয়ার পর সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজল কবির খান আগারগাঁও থেকে মেট্রোরেলে করে সচিবালয় স্টেশনে আসেন।

Link copied!