যুক্তরাষ্ট্রে নিজের ১৪টি বাড়ির যে তথ্য গণমাধ্যমে প্রচারিত হয়েছে, তা ডাহা মিথ্যা বলে জানিয়েছেন ঢাকা ওয়াসার এমডি প্রকৌশলী তাকসিম এ খান।
মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় ওয়াসা ভবনে সংবাদ সম্মেলনে নির্ধারিত কিছু গণমাধ্যমের কাছে এ দাবি করেন তিনি।
ঢাকা ওয়াসার এমডি বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রে আমার স্ত্রীর কেনা মাত্র একটি অ্যাপার্টমেন্ট আছে। আমার স্ত্রী সেখানে সরকারি চাকরি করেন। আমার পুরো পরিবার ১৯৯৫ সাল থেকে সেখানকার নাগরিক। আমিও। অন্য বাসাগুলোর কথা যা বলা আছে, সেখানে আমার স্ত্রী ভাড়া ছিলেন।”
তাকসিম এ খান আরও বলেন, “আন্তর্জাতিক গোয়েন্দা সংস্থার কথা স্টান্টবাজি। দুদকে অভিযোগ থাকতেই পারে। সেটা একটা গোষ্ঠী করছে।”
ঢাকা ওয়াসার ভালো কাজে যাদের ক্ষতি হয়েছে, তারাই আমার পেছনে লেগেছে।”
ওয়াসার এমডি বলেন, “আমি জীবনে হারাম পয়সা খাইনি। খাব না। আমার স্ত্রীর বাবার অনেক জমি আছে। ঢাকায় আমার কোনো জমি নেই।”
ঢাকা ওয়াসার চাকরি ছেড়ে দিতে চেয়েছেন জানিয়ে তাকসিম এ খান বলেন, “এমডি পদের চাকরি ছেড়ে দিতে চেয়েছি বহুবার। আমাকে অনুরোধ করে রাখা হয়েছে। আমার কাজে প্রধানমন্ত্রী কখনো বিব্রত হননি।”
এর আগে দৈনিক সমকালের একটি প্রতিবেদনে প্রকৌশলী তাকসিম এ খানের বিপুল অবৈধ সম্পদ অর্জন ও যুক্তরাষ্ট্রে ১৪টি বাড়ি কেনার বিষয়টি উঠে আসে। এ বিষয়ে দুদকে দুটি অভিযোগ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, তাকসিম এ খানের বাড়ি কেনার অর্থের উৎস ও লেনদেন প্রক্রিয়ার তত্ত্বতালাশে নেমেছে ইন্টারপোলসহ একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা। বিপুল পরিমাণ অর্থে একের পর এক বাড়ি কেনার ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রে গোয়েন্দা তালিকায় সন্দেহভাজন হিসেবে তাকসিমের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রে ১৪ বাড়ি কেনা এবং অর্থ পাচারকারী হিসেবে আন্তর্জাতিক গোয়েন্দা সংস্থার তালিকায় তাকসিম খানের নাম থাকা নিয়ে সম্প্রতি দুটি অভিযোগ জমা পড়ে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক)। অভিযোগে কিছু বাড়ির সুনির্দিষ্ট ঠিকানা, ছবি, কোন বাড়ি কখন, কত টাকায় কেনা, তা উল্লেখ করা হয়েছে। তাকসিম সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সির (সিআইএ) ‘গভর্নমেন্ট ওয়াচ নোটিশ’-এর একটি কপি অভিযোগের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়েছে।