প্রতিষ্ঠান নয়, ব্যক্তি অপরাধের জন্য ব্যক্তি শাস্তি পাবে। তাই কর্মীদের ভয় পাওয়ার কিছু নেই বলে মন্তব্য করেছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
শনিবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর টিএসসি মিলনায়তনে ভোক্তা অধিকার সম্মেলনে যোগ দিয়ে তিনি এই মন্তব্য করেন।
আসিফ মাহমুদ বলেন, “বিশ্বজুড়েই ভোজ্যতেলের দামে ঊর্ধ্বগতি আছে। বন্যার সঙ্গে দ্রব্যমূল্যের সম্পর্ক রয়েছে। বাজার নিয়ন্ত্রণে টাস্কফোর্স কাজ করে যাচ্ছে। এর সুফলও পাওয়া যাচ্ছে। গত বছর কাঁচা মরিচের কেজি ১২০০ টাকা হয়েছিল। ঠিক সময় আমরা নিয়ন্ত্রণ নেওয়ায় এবার দাম বাড়লেও ওই পরিমাণ নয়।”
অর্থ পাচার ও ঋণ খেলাপির কারণে সরকার বাংলাদেশের বড় প্রতিষ্ঠানগুলোর মালিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, “প্রতিষ্ঠানকে সচল রাখতে সরকার সচেষ্ট আছে। ব্যক্তি অপরাধের জন্য ব্যক্তি শাস্তি পাবেন, কর্মীদের ভয় পাওয়ার কিছু নেই।”
বড় প্রতিষ্ঠানগুলোর সদিচ্ছা থাকলে নিত্যপণ্যের দাম কমানো সম্ভব জানিয়ে আসিফ মাহমুদ বলেন, “আমরা সবসময় করপোরেটদের হাতে বন্দী হই। বাজার নিয়ন্ত্রণে যেকোনো ধরনের ব্যবস্থা নিতে প্রস্তুত আছে সরকার। মাঠ প্রশাসনকে সক্রিয় করা বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। সেখানে রদবদল হচ্ছে। দক্ষ কর্মকর্তাদের মাঠে পাঠানো হচ্ছে, যেন জনকল্যাণ করতে পারে।”
টাস্কফোর্সে ছাত্র প্রতিনিধি যোগ করার জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপদেষ্টা। তিনি বলেন, “ভোক্তা অধিকার আইন সংশোধন করে আরও বেশি শক্তিশালী করার কথা ভাবা হচ্ছে।”
কেউ যদি মধ্যস্বত্ত্বভোগী ও সিন্ডিকেট ভেঙে সরাসরি কৃষক থেকে ভোক্তার কাছে পণ্য পৌঁছাতে চায়, তাদের সব ধরনের সহযোগিতা করার কথা জানালেন আসিফ মাহমুদ।
তিনি আরও বলেন, ‘দেশে বিভিন্ন ধরনের পণ্য আমদানি করা হয়। সেখানেও মধ্যস্বত্ত্বভোগীদের হাতে চলে যায়। সরাসরি জিটুজির মাধ্যমে পণ্য আমদানির উদ্যোগ নেওয়া হবে।”