বাংলাদেশে যখন টানা বৃষ্টি আর চারদিকে ঢলের পানি তখন অসময়ে ডম্বুর বাঁধ খুলে দিয়েছে ভারত। এবার তারা গজলডোবা বাঁধও খুলে দিয়েছে। ফলে নোয়াখালী, ফেনী, লক্ষ্মীপুর ও কুমিল্লায় দেখা দিয়েছে বন্যা।
টানা বৃষ্টি ও ঢলের পানিতে কুমিল্লার গোমতী নদীর পানি বেড়ে বন্যা দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যে প্রায় চার হাজার হেক্টর এলাকার ফসলি জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। রাত থেকে বৃষ্টি ও ঢলের পানি ক্রমাগতভাবে বাড়ছে। সকাল পর্যন্ত নদীটির পানি বিপৎসীমার নিচে অবস্থান করলেও দ্রুতই দুকূল ছাপিয়ে উঠবে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
গোমতীপাড়ের কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, গত ১০ বছরের মধ্যে নদীটিতে এত পানি দেখেননি তারা। পানি বাড়ায় চরাঞ্চলের সহস্রাধিক পরিবার বাঁধে আশ্রয় নিয়েছে।
এদিকে গোমতী নদীর পানি বিপৎসীমার ২২ সেন্টিমিটার নিচে দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কুমিল্লা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. আবদুল লতিফ। তিনি জানান, কর্মকর্তারা ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলো পরিদর্শন করছেন।
ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের পানির ন্যায্য হিস্যার দাবিতে এবং ডম্বুর ও গজলডোবা বাঁধ খুলে দেওয়ায় আকস্মিক বন্যা সৃষ্টির প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীরা।
বুধবার রাতে ঢাবির রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এ কর্মসূচির অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় শিক্ষার্থীদের ভারতবিরোধী নানা স্লোগান দিতে দেখা যায়।
ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী আরাফাত বলেন, “আমার এলাকার মানুষ পানির ওপর মানবেতর জীবনযাপন করছে। আমাদের ওপর বছরের পর বছর আগ্রাসন চালানো হয়েছে। আজকের ছাত্রসমাজ কোনো তামাশা মেনে নেবে না। ফেনীর এ বন্যা একটা রাজনৈতিক বন্যা। দেশের ছাত্রসমাজকে ফেনীর দুর্দশাগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান করছি। ’আন্তর্জাতিক আইনের মাধ্যমে দাবি আদায়ের আহ্বান জানান তিনি।